কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোকে উত্তপ্ত করতে ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, করোনার ক্ষতি কাটিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ছাত্র-শিক্ষকরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন ঠুনকো অজুহাতে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার নোংরা রাজনীতি করছে বিএনপি। পরাশ্রয়ী আন্দোলন নির্ভর বিএনপি দেশের স্থিতি নষ্ট করতে নানা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। গতকাল সোমবার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সাম্প্রদায়িক দানবদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি অতিদানবীয় অপতৎপরতা চালাচ্ছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার সরকার নয়, বিএনপিই হচ্ছে আসল দানবীয় শক্তি। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ জনমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছে, আর বিএনপি এনে দিয়েছিল পরনির্ভরতার শৃঙ্খল।
তিনি বলেন, সম্প্রতি চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশ বিএনপির কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা করতে চেয়েছে, কিন্তু তারা কোনো আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে সংঘাতের মাধ্যমে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা করে। আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। সরকার সব সময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পক্ষে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করে আসছে, ভবিষ্যতেও করে আসবে। কিন্তু কর্মসূচিতে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের উপাদান যুক্ত হলে জনস্বার্থে পদক্ষেপ নিতে হয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে।
কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন এখন কথা নির্ভর মিডিয়া সর্বস্ব। শীত-গ্রীষ্ম পেরিয়ে এখন বিএনপি শরতে এসে সরকার হটানোর দিবাস্বপ্ন দেখছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্যান্য প্রশ্নের মতো জিয়াউর রহমানের মরদেহ নিয়েও বিএনপি মহাসচিব কখনো কোনো প্রশ্নেরই জবাব দেন না। প্রশ্ন করলে মূল প্রসঙ্গ এড়িয়ে সামঞ্জস্যহীন জবাব দেন। জিয়াউর রহমানের মরদেহ নাকি জেনারেল এরশাদ কাঁধে বহন করেছেন, এ ধরনের উত্তর দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করেন ফখরুল সাহেব। এরশাদ কফিন বহন করেছেন কিন্তু ভেতরে জিয়ার মরদেহ আছে- এ কথা তো তিনি কখনো বলেননি। মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে তার মরদেহ রাঙ্গুনিয়া পাহাড়ে নিয়ে গিয়েছিল কে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জিয়ার মরদেহ নিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করছেন।