ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও রাসেল রিমান্ডে

আগের সংবাদ

যাত্রীসেবার মান তলানিতে : সড়ক আইন প্রয়োগে উদাসীনতা > নির্দেশনা দিয়েই দায়িত্ব শেষ কর্তৃপক্ষের

পরের সংবাদ

আলোচনা সভায় নওফেল : শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করতে হবে

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : অর্থ-বিত্তের পাহাড় হওয়ার পরও গার্মেন্টস মালিকরা যদি শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা না দেয়, তাহলে তার পরিণতি শুভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
গতকাল চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সম্মিলিত পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবন-জীবিকার চাকাকে সচল রাখতে গার্মেন্টস শিল্প খাতে বড় অঙ্কের প্রণোদনা দিয়েছেন বলে এই শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। শিক্ষা উপমন্ত্রী গার্মেন্টস শিল্প মালিকদের উদ্দেশে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই খাতে প্রণোদনা দিয়েছেন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা চলমান রাখার জন্য এবং তাদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় এখনো লক্ষ্য করা যায়, কোনো কোনো গার্মেন্টসে বেতন-ভাতার জন্য শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ করতে হয়। তাই আমি গার্মেন্টস মালিকদের সুস্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে আপনারা দামিদামি গাড়ি ও বাড়ির মালিক হয়েছেন। আপনাদের অর্থ-বিত্তের পাহাড় হওয়ার পরও শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা যদি না দেয়া হয় তাহলে তার পরিণতি শুভ হবে না। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, রানা প্লাজার মতো মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প খাতকে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই যাতে না হয়। তিনি শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা পকেট ভর্তির জন্য শ্রমিক রাজনীতি করবেন না। যদি তা করেন তাহলে আপনারা মুনাফেক। কোনো মুনাফেককে সৃষ্টিকর্তা ক্ষমা করবেন না।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিকবান্ধব এবং তিনি গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট। তিনি এই শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে গার্মেন্টস পণ্যের ন্যায্য দাম আদায়ে জোরালো দরকষাকষি করে এই শিল্পের সুরক্ষা দিয়েছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের শ্রমে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে এবং তারা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনে অন্যতম প্রধান সহায়ক ভূমিকা রাখছেন। করোনা অতিমহামারিকালে গার্মেন্টস্ শ্রমিকরা ঝুঁকি নেন এবং প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও রপ্তানিনির্ভর এই শিল্পের চাকা সচল রেখেছেন।
পরিষদের সভাপতি শেখ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের উপদেষ্টা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন খান, মাহফুজুর রহমান খান, রফিকুল আলম সাচ্চু, জালাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, দীলিপ কুমার নাথ, বেগম নাসরিন, বাপ্পি দেব বর্মন, ফয়েজ আহমদ, নমিতা নাথ, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়