প্রণোদনা ঋণের জন্য ঘুষ লাগে ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ীর

আগের সংবাদ

অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে : করোনার প্রকোপ কমার পর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও বিষণ্নতার বড় আঘাত আসছে

পরের সংবাদ

বাংলা একাডেমি ‘বঙ্গবন্ধু’ বাঙালির ভালোবাসার নাম

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাঙালির ভালোবাসার অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সামাজিক মূল্যবোধ, ন্যায়নীতি, সত্য-সুন্দর-কল্যাণের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় বাঙালি শাশ্বত ঐতিহ্যই ছিল বঙ্গবন্ধুর সংস্কৃতি ভাবনার মূল ভিত্তি। আর সে কারণেই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ‘শোক ও শক্তির মাস আগস্ট ২০২১’ শীর্ষক অনলাইনে আলোচনা, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রাবন্ধিক গোলাম কুদ্দুছ এসব কথা বলেন। গতকাল রবিবার বিকালে অনলাইন আয়োজনের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
‘বঙ্গবন্ধুর সংস্কৃতি ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গোলাম কুদ্দুছ এবং ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন সমবায়ে উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বইয়ের ডিজিটাল প্রদর্শনী এবং বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বইয়ের ডিজিটাল প্রদর্শনী করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ পর্বে স্বরচিত ‘মুজিব গাথা’ শীর্ষক কবিতা পাঠ করেন কবি ফারুক মাহমুদ, ‘বঙ্গবন্ধুর পাইপ’ শীর্ষক স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি মোহাম্মদ সাদিক এবং ‘আমাকে চেনো না!’ শীর্ষক কবিতা পাঠ করেন কবি মাসুদ পথিক। কবি সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা ‘প্রয়াত পিতার উদ্দেশে খেদ ও শোকসূচক একটি রচনা’ আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী সাধন দাস, কবি দিলওয়ারের ‘শ্রদ্ধেয় পিতা ক্ষমা করবেন’ শীর্ষক কবিতার আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী জ্যোতি ভট্টাচার্য, ফজল-এ-খোদা’র ‘তুমিই বাঙালি তুমি বাংলা’ শীর্ষক কবিতার আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী নাজমুল আহসান এবং আবু কায়সারের ‘সূর্যের অনল’ শীর্ষক কবিতার আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী আহসানউল্লাহ তমাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতামুখী সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনে তো বটেই, রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রেও তার সংস্কৃতি- ভাবনার কেন্দ্রে ছিল বাংলার খেটে খাওয়া মানুষ আর বাঙালির হাজার বছরের দেশজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আমিনুল ইসলাম বলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই- বঙ্গবন্ধুর এই সত্য বাণী তার সমবায়কেন্দ্রিক উন্নয়ন দর্শনের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। সেজন্য বঙ্গবন্ধুকে শুধু বাইরে থেকে ভালোবাসলে চলবে না, তার জীবনদর্শন ও উন্নয়ন-ভাবনার গভীরে ও নিবিড়ে প্রবেশ করতে হবে।
মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের আটক করে পাকিস্তানি বাহিনী। আটককৃতরা অনেকে পরে ছাড়া পেলেও নির্মম নির্যাতনের শিকার হন সুরকার আলতাফ মাহমুদ এবং শহীদ জননী জাহানারা ইমামের পুত্র রুমী। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরপাকড় কিংবা নির্যাতনের মুখেও পিছু হটেনি বাংলার স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা; সারাদেশে প্রবল প্রতিরোধে তারা ক্রমশ শক্তিহীন করতে থাকে পাকিস্তানি হানাদারদের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন এমন দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের মূল প্রেরণা। তারই নামে ও প্রেরণায় আমরা ন’মাস বীরের মতো যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। তাই বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ এবং মুক্তিযুদ্ধের সোনালি দিনগুলো স্মরণ একই সূত্রে গাঁথা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়