কাগজ প্রতিবেদক : করোনা মহামারিকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয় কমে গেলেও বেড়েছে ব্যয়। দলটি জানিয়েছে করোনায় ত্রাণ বিতরণসহ নানাবিধ অতিরিক্ত খরচের কারণে বিপুল পরিমাণ ব্যয় বেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর (২০২০) দলটির আয় কমেছে ৫১ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি এবং ব্যয় বেড়েছে ২১ শতাংশ।
গতকাল রবিবার দুপুরে দলটির পক্ষ থেকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জমা দেয়া ২০২০ সালের আয়-ব্যয় প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। দুপুরে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়য়া ও উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
পরে আবদুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের জানান, ২০২০ সালে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা, যা ২০১৯ সালের আয়ের চেয়ে ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭টা কম। ২০১৯ সালের চেয়ে আয় কমেছে ৫১ শতাংশ। ২০১৯ সালে দলটি আয় করেছিল ২১ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৩০ টাকা।
আয় কম হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, ২০২০ সালে মনোনয়নপত্র বিক্রি বাবদ অর্থ আগের বছরের তুলনায় কম হয়েছে। আয়ের প্রধান খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন পর্যায়ে সদস্যদের চাঁদা, মনোয়ন ফরম বিক্রি ও বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের দেয়া অনুদান প্রভৃতি।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে আওয়ামী লীগের ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা, যা ২০১৯ সালের ব্যয়ের চেয়ে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ টাকা বেশি। মূলত ত্রাণ বিতরণসহ দলীয় দুস্থকর্মীদের সহায়তার কারণে অনেক ব্যয় হয়েছে। এসব কারণে ২০১৯ সালের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে ২১ শতাংশ। ২০১৯ সালে দলটির ব্যয় হয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার ৫৭৫ টাকা।
দলের ব্যয় সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা, বিভিন্ন পর্যায়ে দলীয় প্রার্থীদের অনুদান, পত্রিকা-প্রকাশনা ও সংশ্লিষ্ট খরচ বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দলটির ব্যয় বেড়েছে।
তিনি বলেন, ব্যয়ের প্রধান খাতের মধ্যে রয়েছে- অফিস রক্ষণাবেক্ষণ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সংগঠন পরিচালনা ব্যয় ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা ব্যয়।
বর্তমানে আওয়ামী লীগের তহবিলে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৪ টাকা জমা রয়েছে বলে দলটির দেয়া হিসাব থেকে জানা গেছে।