জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক’ প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বাঙালির হাজার বছরের আশা-আকাক্সক্ষা ও স্বপ্নের নায়ক হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ছিলেন এদেশের গরিব, দুঃখী, নির্যাতিত, বঞ্চিত, মেহনতি মানুষের আপনজন। মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়েও তিনি বলেছেন, আমার প্রিয়জন হচ্ছে এদেশের সাধারণ মানুষ। তারাই আমার আপনজন। বিজ্ঞপ্তি।
গত বুধবার রাতে অনলাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রভাবনা ও স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
তিনি বলেন, ২৩-২৪ বছরে একটি জাতিরাষ্ট্র কখনোই প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে না। এর পেছনে থাকে সুদীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম এবং স্বপ্নের ইতিহাস। শুধু হাজার বছর নয়, চার থেকে সাড়ে চার হাজার বছরের ভাষা, জাতিসত্ত্বা গঠন এবং ভৌগোলিক অবস্থান বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে এই জনপদের আশা-আকাক্সক্ষা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন একমাত্র বঙ্গবন্ধুই। যে কারণে একটি জাতিগঠনে নেতৃত্ব দিয়ে সফল হয়েছিলেন। তিনি শুধু বাঙালির নেতাই ছিলেন না, বিশ্ব মানবতার নেতা হিসেবে আসীন হয়েছিলেন। হি ওয়াজ অ্যা বর্ন লিডার।’
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কাপুরুষ উল্লেখ করে ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে যারা বঙ্গবন্ধুকে নির্মম-নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে- তারা নামে, চেহারায় যাই হোক চিন্তা-চেতনায় তারা পাকিস্তানি। এ দেশের সাধারণ মানুষ তাদের সবসময় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে।
প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকলেও ১৯৪৭ সালের প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান তার রাষ্ট্রভাবনায় ছিল না। তার রাষ্ট্রভাবনায় ছিল ভারতের পূর্বাঞ্চলে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। সেই লক্ষ্যকে ধারণ করেই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে ১৯৪৭ সাল থেকেই তিনি বাঙালির জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে অবতীর্ণ হন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। আমরা যখন মনোবল হারিয়ে ফেলি তখন মনোবল খুঁজে নিতে বঙ্গবন্ধুর কাছে ফিরে যাই। এটি একজন ক্যারিশমেটিক লিডারের প্রভাব। এ কারণেই পৃথিবীর রাজনৈতিক আদর্শে এক অনন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু। সেজন্যই একজন ক্যারিশমেটিক লিডারের চেতনা এবং আদর্শকে হত্যা করা যায় না।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিদেশ থেকে অনেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।