ওবায়দুল কাদের : ২১ আগস্ট মামলার আপিল শুনানি শুরু শিগগিরই

আগের সংবাদ

মহামারিতে মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা

পরের সংবাদ

সাবের হোসেন চৌধুরী : জলবায়ু অর্থায়নের নতুন উপায় বের করতে হবে

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে নতুন উপায় বের করার ওপর জোর দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় যথাযথভাবে ঝুঁকি চিহ্নিত করে এগোতে হবে। এজন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে তাদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে লাভজনক ব্যবসার দ্বার। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘এড্রেসিং ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন্ডিউসড লস এন্ড ডেমেজ ইন পার্টনারশিপ উইথ দ্য প্রাইভেট সেক্টর’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথোরিটির (পিপিপিএ) সঙ্গে যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে একশনএইড বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিসিএডি)।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা এখন জলবায়ু প্রভাবের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিলেও কিছু সময় পরে আমরা আর মানিয়ে নিতে সক্ষম হব না। অভিযোজন কোনো সমাধান নয়। আমাদের প্রশমনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে ২০২০-২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু অর্থায়নের জন্য আর্থিক প্রতিশ্রæতি পেয়েছে। প্যারিস চুক্তির অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথোরিটির (পিপিপিএ) মাধ্যমে নেয়া প্রকল্পে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতির খরচকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমাদের বার্ষিক জিডিপির ৮১ শতাংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে আর ১৯ শতাংশ আসে সরকার থেকে। তাই জলবায়ুজনিত ক্ষয়ক্ষতির অর্থায়নে বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়গুলোকে সরকারের বাস্তবায়িত প্রতিটি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এসব প্রকল্পে যদি ক্ষয়ক্ষতির খরচ যুক্ত করা যায় তবে আমরা সহজেই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি নিরসনে কাজ করতে পারব। তিনি পরবর্তী প্রজন্ম ও সুন্দর আগামীর জন্য বেসরকারি খাতকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল বলেন, ক্ষয়ক্ষতি

সব দেশের জন্য সমান নয়। এটি সামাজিক বা আঞ্চলিক হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন মূল্যায়নের সময় এই ক্ষেত্রগুলো বিবেচনা করা উচিত। বেসরকারি খাতকে দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু অর্থায়নের জন্য সরকারি খাতের সঙ্গে হাত মেলানোর আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোই প্রেফনটেইন বলেন, সামনেই কপ-২৬ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্ভাব্য সমন্বয়ের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে তা বিশ্বমঞ্চে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে এ সম্মেলন একটি সুবর্ণ সুযোগ। আমরা আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের কাছে কোন ধরনের বার্তা পাঠানো উচিত তা বোঝার চেষ্টা করছি।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথোরিটির (পিপিপিএ) সচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন- ডিএফআইডি বাংলাদেশের প্রধান জুডিথ হারবার্টসন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মুনজুরুল হান্নান খান, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিসিএডি) পরিচালক ড. সালেমুল হক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়