ওবায়দুল কাদের : ২১ আগস্ট মামলার আপিল শুনানি শুরু শিগগিরই

আগের সংবাদ

মহামারিতে মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা

পরের সংবাদ

রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পটুয়া-ভগদগাজী কাঁচা রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার ওই রাস্তার পাইকপাড়া গ্রামে শতাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে কাদায় ভরা স্থানগুলোতে ধানের চারা লাগান। গত ২০১৮ সালেও এই রাস্তায় স্থানীয় শিক্ষার্থীরা ধানের চারা লাগালে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে শিশু, বৃদ্ধ ও

নারীদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়। প্রায় প্রতিদিন যানবাহন নিয়ে রাস্তার গর্তে পড়ে পথচারীরা আহত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, জেলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মধ্যে এটি একটি কাঁচা রাস্তা। জেলার উত্তরের শেষ রুহিয়া হয়ে দক্ষিণে রাণীশংকৈল উপজেলার একমাত্র সোজা রাস্তাটি মাঝখানে প্রায় ৫ কিলোমিটার (পটুয়া-ভগদগাজী) কাঁচা। এর মধ্যে পাইকপাড়ার ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর একাধিকবার মাপজোখ করলেও আজ পর্যন্ত পাকা হয়নি অজ্ঞাত কারণে। অথচ বলা হচ্ছে রাস্তাটি মেরামতের ব্যবস্থা হচ্ছে দীঘদিন ধরে। পাইকপাড়ার রাস্তাটি কাঁচা হওয়া সত্ত্বেও জেলা সদরে প্রবেশে সহজ হওয়ায় সদরের রহিমানপুরের পাইকপাড়া, গোয়াপাড়া, বালাপাড়া জামালপুরের জামালপুর, বড় দীঘি, ফুটকিবাড়ী, বিশ্বাসপুর, ভগদগাজী, পীরগঞ্জ উপজেলার জনগাঁও, চাপাপাড়া, রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার, বাংলাগড়, ফতেপুর, রাতোরসহ লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের রাস্তা এটি।
সদর উপজেলার পাইকপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাসেদুর রহমান বলেন, রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী নয়। রাস্তায় কাদার পরিমাণ এত বেশি যে অনেক মুসল্লি মসজিদে আসতে পারেন না, শিশুরা মাদ্রসায় আসে না।
ওই গ্রামের বৃদ্ধ খাতিবর রহমান বলেন, বাড়ির বাইরে রাস্তায় গেলে ভয়ে চলাফেরা করি কখন যে পা পিছলে পড়ি। রাস্তাটি পাকা করার জন্য অনেকবার মাপজোখ হয়েছে কিন্তু পাকা হয়নি। রাস্তায় যেহেতু চলাচল করা যায় না সে কারণে ধানের চারা লাগিয়েছি। দেখি কবে দয়া হয় সরকারের।
পাইকপাড়ার মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, রাস্তায় কাদার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। অনেকে মোটরসাইকেল নিয়ে কাদায় পড়ে আহত হচ্ছেন। রাস্তাটি পাকা করা খুবই জরুরি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রকৌশলী ঈসমাইল হোসেন বলেন, পটুয়া-ভগদগাজীর রাস্তাটি মেগা প্রজেক্টে আছে। প্রজেক্ট পাস হলে কাজ শুরু হবে। আপাতত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী ব্যবস্থা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়