ওবায়দুল কাদের : ২১ আগস্ট মামলার আপিল শুনানি শুরু শিগগিরই

আগের সংবাদ

মহামারিতে মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা

পরের সংবাদ

মহম্মদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্কুলের পাশে ময়লার স্তূপ : স্বাস্থ্যঝুঁকি ও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীসহ পথচারীরা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুরাদ হোসেন, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে : মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উত্তর সীমানা প্রাচীরের রাস্তার পাশে ও সরকারি আর এস কে এইচ ইনস্টিটিউশন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আশপাশ হাটবাজারের ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সাপ্তাহিক দুটি হাট ও প্রতিনিয়ত বাজারের ময়লা-আবর্জনা অবাধে ফেলা হচ্ছে বিদ্যালয়ের আশপাশে এবং পুকুরে। এই ময়লা থেকে মশা ও মাছির উৎপাতে হাসপাতালে আসা রোগী ও সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া দূষিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিবেশ। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে এলাকাবাসী এবং তীব্র পচা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা।
সরজমিনে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উত্তর সীমানা প্রাচীরের পরের এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পেছনে রাস্তার পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। গড়ে উঠেছে ভাগাড়, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বর্জ্য ফেলার পরিবেশবান্ধব কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে পাশেই বসবাসরত পরিবারের শত শত লোকজন ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা ময়লার দুর্গন্ধে। এর দূষণের শিকার পথচারীরা। ফলে এলাকাবাসী, সচেতন মহল ও অভিভাবকরা হাটবাজার স্কুল থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরও হাটবাজার এখানে আনা হয়েছিল, পরে সরিয়ে নিয়েছিল। এ বছর আবার করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারি নির্দেশনায় বিদ্যালয় চত্বরে হাটবাজার আনা হয়েছে। এতে প্রতিদিন কয়েক হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে এই বিদ্যালয় চত্বরে। আর এ কারণে বাজারের সব ময়লা-আবর্জনা পুকুর ও আশপাশে ফেলা হয়। ফলে একদিকে যেমন পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে তীব্র পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম নাসিরুল ইসলাম জানান, সরকারি নির্দেশনা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসন হাটবাজার বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করেছেন। তাই উপজেলা সদর বাজারের প্রতিদিনের ময়লা-আবর্জনা স্কুলের আশপাশে ফেলা হচ্ছে। আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাহী অফিসার স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। এই ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করে দেয়া হনে বলে তিনি জানিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু আহসান জানান, রাস্তার পাশে এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে হাসপাতালে আসা রোগী ও সাধারণ মানুষের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এই ময়লা থেকে মশা ও মাছির উৎপাত বাড়ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি রামানন্দ পাল জানান, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকারি নির্দেশনায় হাটবাজার খোলা স্থানে নেয়া হয়েছে। ২৬ তারিখ থেকে হাটবাজার সরিয়ে নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়