ওবায়দুল কাদের : ২১ আগস্ট মামলার আপিল শুনানি শুরু শিগগিরই

আগের সংবাদ

মহামারিতে মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা

পরের সংবাদ

বাংলা একাডেমির আয়োজন : ভাষার ইতিহাস থেকে মুজিবকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের নির্মোহ ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই, এই আন্দোলনের প্রথম পর্ব অর্থাৎ ১৯৪৮ সালেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সহযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ‘শোক ও শক্তির মাস আগস্ট ২০২১’ শীর্ষক আয়োজিত অনলাইনে আলোচনা, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রাবন্ধিক অধ্যাপক এ কে এম শাহনাওয়াজ এসব কথা বলেন।
গতকাল বুধবার বিকালে অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ই আগস্টের শহিদ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ‘১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক এ কে এম শাহনাওয়াজ এবং ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বইয়ের ডিজিটাল প্রদর্শনী এবং বাংলা একাডেমি প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইয়ের ডিজিটাল প্রদর্শনী হয়। বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠপর্বে স্বরচিত ‘পোস্টার’ শীর্ষক কবিতা পাঠ করেন কবি বিমল গুহ এবং ‘বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু। কবি শহীদ কাদরীর ‘হন্তারকদের প্রতি’ কবিতার আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী ফয়জুল্লাহ সাঈদ এবং কবি অরুণাভ সরকারের ‘মুছে দেবো সমস্ত শৈবাল’ কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিকশিল্পী ইকবাল খোরশেদ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন এ এইচ এম লোকমান। এ কে এম শাহনাওয়াজ আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনের

ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হলেও বঙ্গবন্ধু তার সহযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে জোরদার আন্দোলনের অসামান্য সুফল যা ১৯৫২ সালে চূড়ান্ত রূপ লাভ করে।
নিরঞ্জন অধিকারী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসম্প্রদায়িক ও মানবতামণ্ডিত চেতনাকে শুধু স্মরণ করলেই হবে না, তাকে আরো প্রসারিত করতে হবে। পাকিস্তানি দুঃশাসনের মতো আজও যারা ধর্মের নামে শোষকগোষ্ঠী ও সাম্রাজ্যবাদের এজেন্ডা বাস্তবায়িত করে যাচ্ছে, তাদের প্রতিরোধ করে বাংলার জনসাধারণের সামনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ আগস্ট ঢাকায় গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের একাধিক দুর্ধর্ষ অভিযান পরিচালিত হয়। এসব অভিযানে বাংলার নানা প্রান্তরে পাক হানাদার বাহিনীর বহু সদস্য যেমন প্রাণ হারায় তেমনি পাকিস্তানিদের মনোবলও ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। জলেস্থলে বাংলার বীর মুক্তিবাহিনী শত্রæসেনাকে সাহসিকতার সঙ্গে পরাস্ত করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা ক্রমশ পরিণতির দিকে ধাবিত হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং সার্থক রূপকার। একই সঙ্গে তিনি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শক্তিশালী ভিত্তিভূমির রচয়িতা। তার জন্মের শতবর্ষ অতিক্রান্ত হয়েছে, তার মহাপ্রয়াণের পর অতিবাহিত হয়েছে পঁয়তাল্লিশ বছর, তবু তিনি আজও নিত্য প্রাসঙ্গিক। বাংলাদেশের সমস্ত শুভকর্ম এবং সংকল্পের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু যুক্ত হয়ে আছেন অবিভাজ্য সত্তার মতো।
এ এইচ এম লোকমান বলেন, বঙ্গবন্ধু অমর ও অবিনশ্বর। মৃত্যু তাকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে পারেনি বরং তিনি জ্বলন্ত সূর্যের মতো আজও আমাদের আলোক বিতরণ করে যাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়