ওবায়দুল কাদের : ২১ আগস্ট মামলার আপিল শুনানি শুরু শিগগিরই

আগের সংবাদ

মহামারিতে মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা

পরের সংবাদ

পানি নিষ্কাশনের নেই ব্যবস্থা : বাঘায় পাকা রাস্তার বেহাল দশা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) থেকে : রাজশাহীর বাঘা-লালপুর, আড়ানী-বাগাতিপাড়া সড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না হওয়ায় পাকা সড়কের বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ফলে এসব রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
জানা যায়, বাঘা-ঈশ্বরর্দী সড়কের বাঘা পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড, জিরো পয়েন্ট, বাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। ফলে চলাচলকারীরা দুর্ভোগে পড়ে। আড়ানী-দিঘা, তেঁতুলিয়া-দিঘা, আড়ানী-বাগাতিপাড়া, বাঘা বঙ্গবন্ধু চত্বর-সড়কঘাট সড়কের বেহাল অবস্থায় রয়েছে।
আড়ানী রেলস্টেশনের নুরনগর খয়েরমিল রেলগেট থেকে বাঘা উপজেলার সীমান্ত পাকা রাস্তা গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার অসংখ্য স্থানেই খানাখন্দের পাশাপাশি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙাচোরা সড়কে সার্বক্ষণিক কাদা পানিতে পরিণত হয়ে যায়। এ বিষয়ে পাকা ইউনিয়নের মাকুপাড়া গ্রামের খোদা বক্স বলেন, এ অঞ্চলের সব মানুষ আড়ানী বাজারে ক্রয়-বিক্রয় করেন। এ সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে মোটরসাইকেলের চাকা স্লিপ করে আমার ডান হাতে আঘাত লেগে অনেক দিন ভুগতে হয়েছে।
বাঘা জিরো পয়েন্টের সামনে কোকারিজ ব্যবসায়ী মাহবুর রহমান বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই জিরো পয়েন্ট এলাকায় পাকা সড়কে পানি জমে যায়। ফলে চলাচলকরীরা দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হয়। তিনি বলেন, আমার এক বন্ধু এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সুন্দর জামা কাপড় পরে এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছিল।
এ সময় ওপর দিকে থেকে আসা একটি মাইক্রোর চাকার ছিটকে পড়া পানিতে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। কোনো উপায় নেই। পরে সে পুনরায় বাড়ি থেকে আবার জামা কাপড় পরিবর্তন করে সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়। সড়কে অটোরিকশা চালক শামীম বলেন, খানাখন্দের কারণে সড়কে বিভিন্ন যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। ফলে অনেকেই আহত হচ্ছেন। বাঘা পৌর মেয়র আবদুর রাজ্জাক বলেন, পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে প্রকল্প করা হচ্ছে। শিগগিরই পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার বলেন, আড়ানী-বাগাতিপাড়া সড়কটি ৩ বছর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে নেয়া হয়েছে। তাই সড়কটি সম্পর্কে বর্তমানে কিছু জানা নেই। এছাড়া অন্য সড়কগুলোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, সড়ক উপবিভাগ-১, রাজশাহী মো. নাহিনুর রহমান বলেন, আড়ানী-বাগাতিপাড়া সড়কটির বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। নতুন একটি প্রকল্প হচ্ছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে সংযোজন করে সড়কটির কাজ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়