ওবায়দুল কাদের : ২১ আগস্ট মামলার আপিল শুনানি শুরু শিগগিরই

আগের সংবাদ

মহামারিতে মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা

পরের সংবাদ

তিন ফুটবলার নিষিদ্ধ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ফুটবল ম্যাচ মানেই পরতে পরতে উত্তেজনা আর রোমাঞ্চের ছড়াছড়ি। বাংলাদেশে ফুটবল ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা নতুন কিছু নয়। তেমনি কদিন আগে ঘরের মাঠে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে শেখ জামাল ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের মধ্যকার ম্যাচে মারামারি ঘটনা এখন বেশ তুঙ্গে। তবে এমন অনাকাক্ষিত ঘটনার পর হাত গুটিয়ে বসে নেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তাই প্রিমিয়ার লিগে মারামারির ঘটনায় শেখ জামাল ও ব্রাদার্স ইউনিয়নকে শোকজ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। একই সঙ্গে দুই দলের তিন স্থানীয় ফুটবলারকে চলতি লিগে খেলায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে বাফুফে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত দুই দলের তিন ফুটবলার ও বলবয়দের লিগ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয় বাফুফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শেখ জামালের দুই ফুটবলার শাকিল আহমেদ ও ফয়সাল আহমেদকে ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ছমির উল্লাহ লিগ খেলা থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ব্রাদার্সের বলবয় রাজু ও আনোয়ার হোসেন এবং শেখ জামালের সব বলবয়কে লিগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ২১ আগস্ট প্রিমিয়ার লিগে শেখ জামাল-ব্রাদার্স ইউনিয়ন ম্যাচে ঘটনার সূত্রপাত। মাঠের ভেতরের মারামারি ছড়িয়ে যায় গ্যালারিতেও। তবে ঘটনার শুরু হয় ম্যাচের শেষ দিকে এসে। বক্সের বাইরে একটা ফ্রি-কিক পায় শেখ জামাল। ওই সময় সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন ব্রাদার্সের নাঈম হোসেন। কিন্তু মেজাজ হারিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে বসেন শেখ জামালের ফজলে রাব্বি। ধাক্কা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নাঈম। এটা দেখে দ্রুত নাঈমকে তুলে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন রাব্বি। কিন্তু ওই সময় রাব্বিকে মারতে এগিয়ে আসেন ব্রাদার্সের ফুটবলাররা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুদলের ফুটবলাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এমন ঘটনার পর রেফারি ভুবন মোহন তরফদার হলুদ কার্ড দেন শেখ জামালের রাব্বি ও শাকিল আহমেদকে। আর ব্রাদার্সের হয়ে হলুদ কার্ড দেখেছেন নাঈম। খানিক পরই কর্নার পায় শেখ জামাল। কিন্তু কর্নার শেষ না করেই রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন। এতে বেশ ক্ষুব্ধ শেখ জামালের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন ও অন্য কয়েকজন ফুটবলার রেফারিদের ঘিরে ধরেন মাঠে। একই সঙ্গে গ্যালারি থেকে ব্রাদার্সের সমর্থকরা গালাগালি করতে থাকেন শেখ জামালের ডিফেন্ডার রেজাউলসহ অন্য ফুটবলারদের। ওই সময় ড্রেসিংরুমে ঢুকছিলেন রেজাউল। কিন্তু মেজাজ হারিয়ে রেজাউল গ্যালারিতে ঢুকে মারতে শুরু করে দেন সমর্থকদের। ব্রাদার্সের সমর্থকরাও রেজাউলসহ অন্য ফুটবলারদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। পাশে দাঁড়ানো কয়েকজন পুলিশ ও বাফুফের কর্মকর্তারা ফুটবলারদের থামাতে চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত ব্রাদার্সের ম্যানেজার আমের খান ও শেখ জামালের কর্মকর্তারা মিলে দুই দলের ফুটবলারদের শান্ত করেন। তবে ফুটবলারদের এমন ঘটনার পর ক্রীড়াঙ্গন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার জন্ম দেয়। অনাকাক্ষিত এই ঘটনার তদন্ত করেন বাফুফের ম্যাচ রেফারি।
তাছাড়া ভবিষ্যতে এমনটি না হওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা বাফুফে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়