ওবায়দুল কাদের : ২১ আগস্ট মামলার আপিল শুনানি শুরু শিগগিরই

আগের সংবাদ

মহামারিতে মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা

পরের সংবাদ

ঘিওর : বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তরুণীর গায়ে আগুন

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : ঘিওরে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক কলেজছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত বখাটে মো. শরিফ মিয়া (৪০) দুই সন্তানের জনক। আগুনে কাজল আক্তার নামের ওই কলেজছাত্রীর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। গুরুতর আহত ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাতে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের দ্বিমুখা গ্রামে। অভিযুক্ত বখাটে মো. শরিফ মিয়ার বাড়ি একই এলাকায়।
কাজল আক্তারের ফুফাতো ভাই ফজলুল হক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মিরান খান বলেন, বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের দ্বিমুখা গ্রামের মৃত কাজী ময়নালের মেয়ে কাজল আক্তার (২৫) মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের বিএ ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। ওই গ্রামের বখাটে শরিফ মিয়ার মেয়েকে প্রাইভেট পড়াত কাজল। কৌশলে ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকায় তাদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই সন্তানের জনক মো. শরিফ মিয়ার সঙ্গে কাজলের বিয়ের আগে থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
কাজলের মা বলেন, গত এক বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে মোবাইল ফোনে শিবালয় উপজেলার ফেচুয়াধারা গ্রামের সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী সোহেল রানার সঙ্গে বিয়ে হয় কাজলের। কাজল বিয়ের পর থেকে অনৈতিক কাজ প্রত্যাখ্যান করলে শরিফ তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। স্বামী প্রবাসে থাকায় কাজল তার বাবার বাড়ি থেকে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিল। সোমবার রাতে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে থাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় বাড়ির পাশে কাঠ বাগানে। কথা কাটাকাটির পর বখাটে শরিফ কলেজছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। কাঠ বাগানের পাশেই পানি থাকায় শরীরে আগুন নিয়ে পানিতে ঝাঁপ দেয়। আশপাশের লোকজন তার চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় কাজলকে উদ্ধার করে।
গুরুতর অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাফিজুর রহমান ও ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় কাজল আক্তারের মা রেনু বেগম ঘিওর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘিওর থানার ওসি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছি। মেয়ের মা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঢাকার হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়