১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কুলছাত্র আব্দুর রহিমের

আগের সংবাদ

প্রত্যাবাসনে বাধা চীন-রাশিয়া! বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক মহলও নিষ্ক্রিয়

পরের সংবাদ

সচিবের মায়ের সেবায় মন্ত্রণালয়ের ২৪ কর্মী!

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদের মা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর মায়ের সেবায় এক উপসচিবসহ ২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োজিত করেছেন তিনি। এমনকি চিঠি ইস্যু করে তাদের ২৪ ঘণ্টার দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। সরকারি চাকরিবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, ক্ষমতা খাটিয়ে এ কাণ্ড ঘটানোর পরও বেমালুম তা অস্বীকার করছেন রওনক মাহমুদ। গতকাল সোমবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে সচিব রওনক মাহমুদের মায়ের সার্বক্ষণিক সেবায় নিয়োজিত থাকছেন সরকারি কর্মকর্তা ও আমলা। তাও আবার এক-দুজন নয়, তিন দিনের জন্য চার শিফটে এক উপসচিবসহ দায়িত্বে থাকছেন ২৪ জন। দাপ্তরিক চিঠি ইস্যু করে তাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। যাদের ২৪ ঘণ্টাই থাকতে হচ্ছে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। এই ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব সমন্বয় করছেন সচিবের একান্ত সচিব আজিজুল ইসলাম। কার দায়িত্ব কী হবে, এজন্য দেয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা।
নির্দেশনায় বলা হয়, সচিবের মায়ের সার্বিক অবস্থা সার্বক্ষণিক জানাতে হবে পিএসকে, চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ, টেস্ট করানো ও তার রিপোর্ট দ্রুত সংগ্রহ করা এবং হোয়াটসঅ্যাপে সচিবের পিএসকে রিপোর্টের কপি পাঠাতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকতে হবে রোগীর কাছাকাছি, রোগীর অ্যাটেন্ডেন্টের কাছে জানান দিতে হবে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মী চ্যানেল ২৪-এর কাছে স্বীকার করেছেন, সচিবের মায়ের যে কোনো দরকারে ৬ ঘণ্টা সেখানে ডিউটি করতে হচ্ছে তাদের।
সরজমিনে হাসপাতালের চিত্র ও আদেশের বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তা অসম্ভব বলে উড়িয়ে দেন তিনি। যদিও সচিবই সেই অসম্ভবকে সম্ভব করছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়