১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কুলছাত্র আব্দুর রহিমের

আগের সংবাদ

প্রত্যাবাসনে বাধা চীন-রাশিয়া! বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক মহলও নিষ্ক্রিয়

পরের সংবাদ

মিতু হত্যায় বাবুলের মামলা : নথি আদালতের হেফাজতে রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার যাবতীয় আলামত ও নথিপত্র পুলিশের পরিবর্তে আদালতের হেফাজতে সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাবুল আক্তারের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমান এ আদেশ দেন। এদিকে মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার নথিপত্রের সার্টিফাইড কপিও আইনজীবীকে সরবরাহের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার মহানগর হাকিম সারোয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন। উল্লেখ্য, বাবুল আক্তারের করা মামলাটিতে পুলিশ এরই মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে নিষ্পত্তি করেছে। একই ঘটনায় নিহত মিতুর বাবার করা আরেকটি মামলা দায়েরের পর নতুনভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, মিতু হত্যার পর তার স্বামী বাবুল আক্তারের দায়ের করা আগের মামলার তদন্তের গতিপথ ছিল এক ধরনের, এখন আবার আরেকভাবে তদন্ত হচ্ছে। আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, আগের নথিপত্র টেম্পারিং করে তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে আসামি বাবুল আক্তারকে ফাঁসিয়ে দেয়া হতে পারে। সেজন্য আমরা নথিপত্রগুলো পুলিশ বা জেনারেল রেকর্ড শাখার পরিবর্তে জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি শেষে পিবিআইয়ের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য, ১৬১ ও ১৬৪ ধারার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ যাবতীয় নথি জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন। বাদী-বিবাদী যাদের প্রয়োজন হবে, আদালতে আবেদন করে তার নকল নিতে পারবেন।
আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল আরো বলেন, বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় বেশ কয়েকজন আসামি ও সাক্ষী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশ অনেকের ১৬১ ধারায় জবানবন্দি নিয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনসহ এসব নথির সার্টিফাইয়েড কপির জন্য আমরা বারবার পুলিশের কাছে গিয়েছি। কিন্তু তারা বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের সেগুলো সরবরাহ করছে না। সেজন্য আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে খুন করা হয় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। তবে মিতুর বাবা অভিযোগ করেন, মেয়েকে হত্যার পেছনে তার জামাইয়ের ‘যোগসাজশ’ রয়েছে।
গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় ১২ মে ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। একই দিন (১২ মে) দুপুরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়