১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কুলছাত্র আব্দুর রহিমের

আগের সংবাদ

প্রত্যাবাসনে বাধা চীন-রাশিয়া! বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক মহলও নিষ্ক্রিয়

পরের সংবাদ

এসএমএস ছাড়াই নেয়া যাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ : গণটিকা ক্যাম্পেইন আর নয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার (কোভিশিল্ড) প্রথম ডোজ নেয়া ব্যক্তিরা দ্রুত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে গিয়ে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এজন্য এসএমএসের অপেক্ষায় থাকতে হবে না। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সেন্টারের (এমআইএস) এক জরুরি ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়। তাতে বলা হয়, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ১ম ডোজ নেয়ার পর দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে আছেন, তারা নিকটবর্তী কেন্দ্রে যোগাযোগ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিন।
এ প্রসঙ্গে এমআইএসের পরিচালক ও এইচআইএস এন্ড ই-হেলথের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য (নাগরিকদের) এসএমএস পাওয়ার কথা। যদি নাও পায় তাহলেও কেন্দ্রে যাবে। টিকা কার্ডটা নিয়ে গিয়ে বলতে হবে ফার্স্ট ডোজ নিয়েছি। তাহলেও টিকাদান কর্মীরা টিকা দিয়ে দেবে।
এদিকে গণটিকা ক্যাম্পেইন আপাতত আর হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, সুরক্ষা অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করেই সবাইকে টিকা নিতে হবে। প্রথম ডোজ দেয়ার ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায় কিনা সে বিষয়েও ‘ভাবা হচ্ছে’। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, গত ১০ থেকে ১৫ দিনে টিকার বিষয়ে অনেক কাজ করা হয়েছে। চীনে নতুন করে প্রায় ৬ কোটি ডোজের অর্ডার দেয়া হয়েছে। তার আগে দেড় কোটি ডোজের অর্ডার ছিল। চীন থেকে মোট সাড়ে ৭ কোটি টিকা আসবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও জানতে চাওয়া হয়েছে- আমরা টিকা নেব কিনা, তবে সেগুলো কিনে নিতে হবে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফাইজারের আরো ৬০ লাখ টিকা পাওয়া যাবে। এ মাসে কিছু টিকা আসবে, বাকিগুলো আসবে সেপ্টেম্বরে। যদি সবাই তাদের প্রতিশ্রæতি রক্ষা করে তবে দেশে টিকার খুব একটা অভাব থাকবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা যদি ১৬ কোটি টিকা পেয়ে যাই, তাহলে ৮ কোটি লোককে টিকা দিতে পারব। এ টিকাগুলো ডিসেম্বরের মধ্যেই আসার কথা। বিনামূল্যে কোভ্যাক্সের কিছু টিকাও আসবে। ১৬ কোটির থেকেও বেশি হবে টিকা। আমরা মনে করি, আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের ৭ থেকে ৮ কোটি লোককে টিকা দিতে পারব।
গণটিকা ক্যাম্পেইন কবে শুরু হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে গণটিকার ক্যাম্পেইন আমরা করছি না। কারণ সেই পরিমাণ টিকা আমাদের হাতে নেই। আমরা ‘গণ’ কথাটা হয়তো আগামীতে আর ব্যবহার করব না। আমাদের হাতে যখন যতটুকু টিকা আসবে, সেই টিকা যত মানুষকে দিতে পারব, তত মানুষের কাছে বার্তা যাবে, তারাই আসবে। লম্বা লাইন আর করতে দেব না।
তিনি আরো বলেন, আগে নিবন্ধন করেও অনেকে এখনো এসএমএস পাননি, নিবন্ধিত সাড়ে ৩ কোটির মধ্যে ২ কোটির বেশি টিকা পেয়েছে। আমাদের কাছে যতটুকু টিকা আছে সেই টিকা দিতে পারব। টিকা কতটুকু হাতে আছে সেই অনুযায়ী নিবন্ধন দেব। সব কাজই সিস্টেমে আসতে একটু সময় লাগে।
গ্রামে বেশি আক্রান্ত হচ্ছিল বলে টিকা গ্রামে নিয়ে যাই। ব্যাপক সাড়াও পেয়েছি। হাতে টিকা বেশি পরিমাণে এলে গ্রামে দেব। ১৮ বছরের বেশি বয়সের অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় নিবন্ধন করতে পারছেন না- এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে নিবন্ধন করতে দেব এবং কর্মসূচি দেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়