১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কুলছাত্র আব্দুর রহিমের

আগের সংবাদ

প্রত্যাবাসনে বাধা চীন-রাশিয়া! বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক মহলও নিষ্ক্রিয়

পরের সংবাদ

একজন খেলাইফি ও পিএসজি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ফরাসি ফুটবল ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জামেই বা পিএসজির সফলতার মহানায়ক নাসের আল খেলাইফি। কিন্তু এই খেলাইফি না ফ্রান্সের না ফুটবলের কেউ। তিনি ছিলেন কাতারের একজন পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাধুলায় কাতারের অবদান নিশ্চিতায়নে সরকারি অর্থায়নে ২০১১ সালে কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট (কিউএসআই) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সময় সংস্থাটির চেয়াম্যানের দায়িত্ব পান তিনি। ওই বছরেই কিউএসআই ইনভেস্ট করে কিনে নেয় ফরাসি ক্লাব পিএসজিকে। আর তখন থেকে এই ক্লাবটিরও চেয়ারম্যান ও সভাপতির দায়িত্বে আছেন নাসের আল খেলাইফি। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি ফরাসি ক্লাব পিএসজিকে। ১৯৯৪ সালের পর থেকে লিগ ওয়ানের শিরোপার স্পর্শ না পাওয়া ক্লাবটিকে ক্রয়ের দ্বিতীয় বছরেই শিরোপার স্বাদ এনে দেন নাসের আল খেলাইফি। তারপর থেকে লিগ ওয়ানের ট্রফি আর পিএসজি একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছেন।
৪৭ বছর বয়সি নাসের আল খেলাইফির জন্ম ও বেড়ে ওঠা কাতারের দোহাতে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় তিনি কাতারের রাজ পরিবারের সন্তান এবং আমির তামিমের আত্মীয়। চার সন্তানের জনক খেলাইফি কাতার ভিত্তিক বেইন মিডিয়া গ্রুপের মালিক। বর্তমান সময়ের অন্যতম বিত্তবান খেলাইফি ১৯৯২-২০০২ সাল পর্যন্ত কাতারের টেনিসে খেলোয়াড় হিসেবে তার পথচলা শুরু করেন। খেলোয়াড়ি জীবন ছেড়ে আল খেলাইফি ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করেন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে। ওই বছর কাতার টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি হওয়া নাসের ২০১১ সালে এশিয়ান টেনিস ফেডারেশনের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে পথচলা এবং পরবর্তীতে টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি হয়ে সংগঠকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া একটা মানুষ কীভাবে ফুটবলে এসে এমন চমক দেখাতে পারেন তা অতি বিস্ময়ের ব্যাপার। কিন্তু তিনি চমক দেখিয়েই চলেছেন ইব্রাহিমোভিচ থেকে শুরু করে মেসি পর্যন্ত। চমক দেখিয়েই চলেছেন ২০১১-২১ পর্যন্ত ফ্রেঞ্জ লিগ ওয়ানে। কিউএসআইয়ের পৃষ্ঠপোষক কাতারের আমির তামিম বিন থানি তার আত্মীয়ের ওপর যে আস্থা রেখেছেন তার প্রতিদান ভালোভাবেই দিচ্ছেন নাসের আল খেলাইফি। ১৯৯৪ সালে লিগ ওয়ানের শিরোপা জয়ের পর ফরাসি ক্লাব পিএসজি শেষবার রানার্স আপ হয়েছিল ২০০৪ সালে। এমন একটি দলকে দায়িত্ব নেয়ার প্রথম বছরেই নিজের হাতের ছোঁয়ায় ও সাংগঠনিক দক্ষতায় দ্বিতীয় স্থানে তুলে আনেন। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট ছিলেন না আল খেলাইফি। ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার লিওনার্ডোকে পিএসজির স্পোর্টি ডিক্টের হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর দলে ভেড়ান সুইডিশ তারকা জøাতন ইব্রাহিমোভিচকে। ২০১২ সালে পিএসজিতে ইব্রাহিমোভিচ এসে দলকে এনে দেন টানা চারটি শিরোপা জয়ের স্বাদ। যোগ্য লোকের পিছনেই যে খেলাইফি অর্থ ব্যয় করেছিলেন তার উত্তর চার শিরোপা উপহারের মাধ্যমেই দিয়েছিলেন সুইডিশ এই তারকা। এর পর ২০১৬ সালে ইব্রাহিমোভিচ প্যারিস ছেড়ে লন্ডনে যাত্রা করলে ২০১৬-১৭ মৌসুমে শিরোপা হাত ছাড়া হয় পিএসজির। এই সময় খেলাইফি আবার নড়ে চড়ে বসেন। য় কাগজ ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়