মানুষের কল্যাণ করার জন্যই আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন : সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা

আগের সংবাদ

প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বিভাজন! মাঠ প্রশাসনকে কেন্দ্রের বিশেষ নির্দেশনা : জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

পরের সংবাদ

বিটিআরসি চেয়ারম্যান : টিকটক পাবজি লাইকি বন্ধে কাজ চলছে

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী টিকটক, পাবজি, লাইকিসহ বিভিন্ন সাইট বন্ধের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। তিনি বলেন, এর কিছু কারিগরি দিক রয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন হলে সাইটগুলোও বন্ধ হবে। সংস্থাটির অনলাইন গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করতে গিয়ে গতকাল রবিবার দুপুরে তিনি এ কথা জানান। গণশুনানিতে দেশে ইন্টারনেটের ধীরগতি, মোবাইল ফোনে অযাচিত ক্ষুদে বার্তা, মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অবশিষ্ট ডেটা কেটে নেয়া, কলড্রপসহ বিভিন্ন বিষয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ উঠে আসে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, গণশুনানির মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের মতামত সরাসরি জানতে পারি, ফলে এ খাতের সেবার মান আরো বাড়ানো যায়। ২০১৯ সালের গণশুনানিতে অংশ নেয়া গ্রাহকদের অভিযোগগুলোর বেশির ভাগই সমাধান করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে ডোন্ট ডিসটার্ব সেবা চালু করা হয়েছে। ৮৪টি বৈধ ও ১৪টি অবৈধ আইএসপির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর বাইরেও সেবার মান বাড়াতে ও গ্রাহকের ভোগান্তি কমাতে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
গণশুনানিতে অংশ নিয়ে মোবাইল ফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অযাচিত ক্ষুদে বার্তা বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিটিআরসি ডু নট ডিস্টার্ব এসএমএস চালু করেছে। আমাদের প্রশ্ন, ডু নট ডিস্টার্ব এসএমএস দিয়ে কি ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস প্রোভাইডারদের মেসেজ বন্ধ করা যায়? তিনি গ্রাহকদের টাকায় কেনা ডাটা মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে কেন কেটে নেয়া হয়েছে তা জানতে চান। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্রি ফায়ার, পাপজি, লাইকি, ভিগো লাইভসহ ক্ষতিকর ইন্টারনেটের সাইটগুলো কবে বন্ধ হচ্ছে তা জানতে চান মহিউদ্দিন আহমেদ। এর উত্তরে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, এটি প্রক্রিয়াধীন।
তারা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। কিছু কারিগরি কাজ সম্পন্ন হলে সাইটগুলো বন্ধ হবে।
ইসরাইলের কাছ থেকে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ও ইমচী ক্যাচার কেনা ও মুঠোফোনে আড়িপাতা বিষয়ে কমিশনের কাছে কী তথ্য আছে তা জানতে চায় মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। এছাড়া গণশুনানিতে তারা ২০টি প্রশ্ন উত্থাপন করে। সেগুলোর উত্তর পরে লিখিতভাবে দেয়া হবে বলে বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়। শুনানিতে বিটিআরসির সিস্টেম এন্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ ও স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়