মানুষের কল্যাণ করার জন্যই আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন : সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা

আগের সংবাদ

প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বিভাজন! মাঠ প্রশাসনকে কেন্দ্রের বিশেষ নির্দেশনা : জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

পরের সংবাদ

বিএনপিকে নানক : ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে পালানোর পথ পাবেন না

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির অপকর্মকে প্রত্যাখ্যান করে দেশের জনগণ তাদের দিকে থুতু মেরে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে- এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। গতকাল রবিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বর গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেজর সামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে নানক বলেন, গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকেন, তার পাশে চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে মাতম করেন, তাণ্ডব চালিয়েছেন। আমাদের সহ্যের বাঁধ যদি ভেঙে যায় তাহলে আপনাদের জন্য মঙ্গল হবে না। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।
২১ আগস্টের স্মৃতিচারণ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সারাদেশের নেতাকর্মীরা টেলিফোন করে জানতে চাচ্ছেন, তারা কী করবেন! সুধাসদনে ঢুকে দেখি নেত্রী সোফায় বসা আর সোফার হাতলে বসে নেত্রীর গলা জড়িয়ে ধরে কান্না করছেন ছোট আপা (শেখ রেহানা)। তার চোখ দিয়ে অশ্রæ ঝরছে। আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বাঁইচা আছো।’ এরই মধ্যে নেত্রীর নিরাপত্তায় পুরো সুধাসদন কর্ডন করে রেখেছে আমাদের নেতাকর্মীরা। আমি আপাকে বললাম ওদের (বিএনপি-জামায়াত) আর ছাড়ব না। ক্ষমতায় থাকতে দেব না। অনির্দিষ্টকালের হরতাল দিয়ে সব কলাপস করে দিব। রক্তের বদলা নেবই। ওদের পতন না ঘটা পর্যন্ত হরতাল চলবে। যেখানে যার বাড়িঘর আছে, সমস্ত জ¦ালিয়ে দেব। নেত্রী তখন বললেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আগে আমার মানুষকে বাঁচাও। হরতাল হলে তারা মুভমেন্ট করতে পারবে না। রাজনীতি পরে। তিনি কেঁদে কেঁদে বললেন ‘আমার জন্য আর কত মানুষ জীবন দিবে? ওদের বাঁচাও। আমার আর রেহানার সমস্ত গহনা বিক্রি করে হলেও ওদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করো।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে নানক বলেন, এই ছাত্রলীগ হলো বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ক্যান্টনমেন্ট। শেখ হাসিনা গ্রেফতারের পর এই ছাত্রলীগ-যুবলীগই ১/১১ সময় প্রতিবাদ করেছে। সেনাশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, প্রতিরোধ করেছে।
বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্রলীগ যেমন সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন, মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবসময় পাশে থাকে, তেমনি আগামী দিনের প্রতিটি লড়াই-সংগ্রাম ও সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ছাত্রলীগকেই ভূমিকা রাখতে হবে। সেজন্য সংগঠনের প্রতিটি স্তরে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করার তাগিদ দেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়