মানুষের কল্যাণ করার জন্যই আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন : সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা

আগের সংবাদ

প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বিভাজন! মাঠ প্রশাসনকে কেন্দ্রের বিশেষ নির্দেশনা : জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

পরের সংবাদ

নিউ রংধনু হাসপাতাল : প্রসূতি ও নবজাতক শিশুর মৃত্যু ডাক্তার নার্স পালিয়েছেন

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর সদরের থানার ঘাটে অবস্থিত নিউ রংধনু হাসপাতালে প্রসূতি সোনিয়া খাতুন (৩০) ও নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ডাক্তার ও নার্স পলাতক রয়েছেন। 
নিহত প্রসূতির স্বামী ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার ভোর রাতে উল্লাপাড়া উপজেলার যুগ্নিবাড়ী গ্রামের হাবিবুর রহমান সরকার তার প্রসূতি স্ত্রীকে নিয়ে শাহজাদপুুর পৌর সদরের থানারঘাট পাড়া নিউ রংধনু প্রাইভেট হাসপাতালে আসেন। এ সময় হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন । পরে হাসপাতালের ডাক্তার আয়শা সিজার করার সময় মৃত বাচ্চা হয়েছে বলে তার স্বামী হাবিবুরকে জানান। প্রসূতি মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করলে বলে তার প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে তাকে রক্ত দিতে হবে । এমতাবস্থায় প্রসূূতির পরিবার যখন রক্ত সংগ্রহে ব্যস্ত তখন ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ডা. আয়শা তড়িঘড়ি করে একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে রোগীর অভিভাবক ছাড়াই মৃত প্রসূতি ও নবজাতক শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে দেন। প্রসূতির স্বামী হাবিবুর সরকার এলে ডা. আয়শা রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তখন হাবিবুর অ্যাম্বুলেন্সে উঠে বুঝতে পারেন তার স্ত্রী বেঁচে নেই। সে সময় হাবিবুর তার নিহত স্ত্রী-সন্তানকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে রাখেন। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছায়। তবে তার আগেই হাসপাতালের ডা. আয়শা ও সব নার্স পালিয়ে যান। 
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম খান জানান, উপজেলা হাসপাতালে প্রসূতিদের স্বাভাবিক প্রসব এবং সিজারিয়ানের ব্যবস্থা থাকলেও একশ্রেণির দালালের কারণে প্রসূতিদের বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পক্ষ থেকে যদি এ বিষয়ে কেউ তার কাছে অভিযোগ করে তাহলে আমরা ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তাছাড়া প্রসূতি ও নবজাতক কেন মারা গেল এ ব্যাপারে তদন্ত করে ওই ক্লিনিক বা ডাক্তার দায়ী থাকলে তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার এসআই খলিলুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এ ঘটনার অনুসন্ধান করেছি। নিহতদের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি । নিহত মা ও শিশুকে ক্লিনিক থেকে বাড়িতে নেয়া হয়েছে। 
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে হাসপাতালের বৈধ লাইসেন্স না থাকায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা আদায় করে ও হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়