মানুষের কল্যাণ করার জন্যই আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন : সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা

আগের সংবাদ

প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বিভাজন! মাঠ প্রশাসনকে কেন্দ্রের বিশেষ নির্দেশনা : জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

পরের সংবাদ

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প : টাইগারপাস রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প থেকে নগরের অপরূপ প্রকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত টাইগারপাস রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে চট্টগ্রাম ঐতিহ্য রক্ষা পরিষদ। গতকাল রবিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিপ্লবের তীর্থস্থান চট্টগ্রামের রয়েছে অনেক সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, প্রশাসনিক ও প্রাকৃতিক এই ঐতিহ্য আজ বিলুপ্ত হতে চলেছে। তাই টাইগারপাসের ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য আগের রূপে রাখতে এই দাবি জানানো হয়।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নে আরেকটি মাইলফলক। তবে পরিবেশ-প্রকৃতি এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষার তাগিদ থেকে টাইগারপাসের প্রকৃতি প্রদত্ত অপরূপ নান্দনিক সৌন্দর্য যেন ইট-পাথরের কংক্রিটের নিচে ঢেকে না পড়ে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্তটি টাইগারপাসের পরিবর্তে দেওয়ানহাট ব্রিজের দক্ষিণ প্রান্তে নামানোর প্রস্তাব করে তিনি বলেন, অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই টাইগারপাসে ঐতিহ্য রক্ষার পাশপাশি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার মতো প্রকল্প ব্যয়ও সাশ্রয় হবে। এছাড়া দেওয়ানহাট মোড় থেকে নৌবাহিনীর সিনেমা হলের পাশের পুরনো রাস্তাটি চালু করে রেললাইনের উপর ওভারপাস তৈরির বিকল্প প্রস্তাব দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ঐতিহ্য রক্ষা পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক জসীম চৌধুরী সবুজ সিআরবি রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গেও একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামের প্রাচীন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক সব ঐতিহ্য রক্ষায় পরিষদ সোচ্চার থাকবে। তবে এই মুহূর্তে টাইগারপাসকে আদিরূপে রক্ষা করাটা চট্টগ্রামবাসীর নৈতিক দায়িত্ব। আশা করছি, সরকার গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি বিবেচনায় নেবে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, প্রকৌশলী সুভাষ বড়–য়া, যুগ্ম সদস্য সচিব স্থপতি আশরাফুল ইসলাম শোভন। সঞ্চালনা করেন পরিষদের সমন্বয়কারী এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুর।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদ্যমান রেলওয়ে ব্রিজটির যেহেতু মেয়াদ শেষ, তাই সেটি ভেঙে সেখানেও নতুন আরেকটি ওভারপাস তৈরি করা হলে আগ্রাবাদমুখী যানবাহন চলাচল করতে পারবে। প্রকল্পের বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী ফ্লাইওভারটি যদি টাইগারপাসের ওপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তা হবে খুবই বিপজ্জনক। ধনিয়ালাপাড়া থেকে মনসুরাবাদের দিকে যে ফ্লাইওভারটি গেছে তার উপর দিয়ে আনতে হবে লালখান বাজারমুখী ফ্লাইওভারটি। এতে এটি আনতে হবে ৮০ ফুট উচ্চতায়। ব্যস্ততম এই রুটে যেখান দিয়ে বন্দর থেকে পণ্যবাহী যানবাহনও চলাচল করে- সেসব যান এত উঁচুতে উঠতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হবে। ব্যস্ততম রুটে যান চলাচল বিঘিœত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়