অভিনন্দন জানাল প্রজ্ঞা : রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের অযোগ্য তামাক কোম্পানি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি গায়েব, তদারকি নেই : গণপরিবহন, দোকান, কাঁচাবাজার, বিনোদন কেন্দ্রে চলাচল স্বাভাবিক

পরের সংবাদ

১৮ মাসেও হয়নি পরীক্ষার ফল সেশন জটে ফোকলোর বিভাগ

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাশেদুজ্জামান রনি, জাককানইবি থেকে : ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৬ ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ৩য়বর্ষ প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৮ মাস পেরিয়ে গেলেও বিভাগটি ফলাফল প্রকাশ করেনি।
এই সেশনের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘এমনিতেই দুই বছর থেকে আটকে আছি তারপর প্রায় দুই বছর হলো পরীক্ষার রেজাল্ট পাচ্ছি না। এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধানকে বললে তিনি বলেন পরীক্ষা কমিটির সভাপতি জানেন, আবার পরীক্ষা কমিটির সভাপতি বলেন বিশ্ববিদ্যালয় আগে খুলুক। সবার ভিতরে চাপা ক্ষোভ ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না। শিক্ষকদের আবহেলায় আটকে আছে আমাদের রেজাল্ট।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তাদের অপারগতার জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে মানসিকভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। যদি আমার কিছু হয় তাহলে কি বিশ্ববিদ্যালয় এর দায়ভার নেবে? যেখানে অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট বহু আগেই সব ফলাফল দিয়ে দিয়েছে। রেজাল্ট না দেয়ায় সেশন জটে আটকে আছি। এত দিনে অনার্স শেষ হওয়ার কথা ছিল। আমাদের সেশনের অনেকেরই অনার্স করোনার আগেই শেষ।’ এ বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. বাকী বিল্লাহ বলেন, ‘আমি বিভাগীয় প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছি। এখন পরীক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন।’
পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. আতিজা দীল আফরোজ বলেন, ‘এটি ফোকলোর বিভাগের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আপনি জানতে চান কেন।’ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে চাওয়া বললে তিনি বলেন, ‘তাহলে শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে কথা বলবে, আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলব।’
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। করোনা পরিস্থিতির জন্য তাদের বিভাগের ফলাফলে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এখন দপ্তরগুলো খুলে গেছে, কাজেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা প্রকাশের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি খুব দ্রুতই দেখব।’
এছাড়া বিভাগটিতে রয়েছে দীর্ঘ সেশন জট। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সেশন জটের নেপথ্যে শিক্ষকদের কোন্দল, রাজনীতি বা অন্যান্য বিষয় নয়, দায়ী কেবল ফলাফল প্রকাশে বিভাগটির দীর্ঘসূত্রিতা। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ইন্টার্নাল মার্ক দিতে স্বজনপ্রীতি, চেহারা দেখে নম্বর প্রদান ও পছন্দের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকারের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়