মির্জা ফখরুল : জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার মানুষ বিশ্বাস করে না

আগের সংবাদ

বিলুপ্তির পথে সোনাগাজীর ঐতিহ্য ‘পানের বরজ’

পরের সংবাদ

সোনাইমুড়ীতে হেফাজত থেকে আসামির পলায়ন : ওসি দারগাসহ চার পুলিশ বরখাস্ত

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাজমুল হক, (সোনাইমুড়ী) নোয়াখালী থেকে : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা ২ ধর্ষণ মামলার আসামি পালিয়েছে। এ ঘটনায় থানার উপপরিদর্শকসহ তিন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ পরিদর্শক (তদন্ত) জিনার আহম্মদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- থানার উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন শাহ্, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তার। পলাতক আসামিরা হচ্ছেন- সোনাইমুড়ীর বজরা ইউনিয়নের বাট্টা গ্রামের মুজা মিয়া বেপারি বাড়ির মৃত চান মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল (২৪) ও বগাদিয়া গ্রামের সওদাগর বাড়ির মৃত আবদুল লতিফের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮)। রাতে পুলিশের অভিযানে পলাতক আসামি দেলোয়ারকে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে আটক করা হয়।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে আদালতের নির্দেশক্রমে সোনাইমুড়ী থানায় বিভিন্ন সময় ধর্ষণ মামলার মোট ৫ জন ভিক্টিম নারীসহ দুই ধর্ষণ মামলার আসামিকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসযোগে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা সিআইডির ক্রাইম বিভাগে পাঠানো হয়। দুপুরে পরীক্ষার নমুনা গ্রহণের পর আসামি ও ভিক্টিমদেরকে নিয়ে গাড়িটি ফেরত আসছিল। পথিমধ্যে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানা এলাকা হাইওয়ে সড়কের পার্শে আল মদিনা হোটেলে যাত্রা বিরতি করে। এসময় পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মদের তদন্তাধীন দুই আসামি দেলোয়ার জুয়েল টয়লেটে যেতে চাইলে তাদের হাতকড়া খুলে দিয়ে কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস বাইরে অপেক্ষা করছিল। দীর্ঘ সময় আসামিরা বাইরে বের না হওয়ায় ও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় পুলিশ বাইরে থেকে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান আসামিদ্বয় যোগসাজশে টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙে পালিয়েছে। পরে পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদ বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেন। পরে প্রযুক্তির সাহায্যে আসামি শনাক্ত করে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ তাকে আটক করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার রাতে উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন শাহ্, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গতকাল ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ থেকে পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদকে বরখাস্ত করে আরেকটি আদেশ জারি করা হয় বলে পুলিশ সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়