মির্জা ফখরুল : জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার মানুষ বিশ্বাস করে না

আগের সংবাদ

বিলুপ্তির পথে সোনাগাজীর ঐতিহ্য ‘পানের বরজ’

পরের সংবাদ

আফগান শরণার্থীরা পাকিস্তানে ঢুকতে নতুন বাধার মুখে

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের তোরখাম ক্রসিংয়ের পরিস্থিতি উপর থেকে দেখলে প্রায় স্বাভাবিক মনে হয়, তবে কাছে গেলে বোঝা যায় সেখানে অনেক কিছুই বদলে গেছে। ক্রসিংয়ে ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তানের তেরঙা পতাকার স্থলে দেখা যাচ্ছে ইসলামিক আমিরাতস অব আফগানিস্তানের সাদা পতাকা।
আফগান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সৈন্যের জায়গায় বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে আছেন তালেবান যোদ্ধারা। তোরখাম এখন বিদ্রোহী এ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে, যেটি পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সবচেয়ে ব্যস্ত সীমান্ত ক্রসিং। খবর বিবিসি।
কয়েক দিন আগেও কয়েকশ আতঙ্কিত আফগান বেসামরিক নাগরিককে এখানে জড়ো হতে দেখা গেছে, দেশ ছেড়ে পালানোর মরিয়া চেষ্টা করছিলেন তারা। আফগান সরকারি বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে লড়াই তাদের ভূখণ্ডের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, এই শঙ্কায় বিদ্রোহীরা কাবুল দখলের আগেই পাকিস্তান সীমান্তে তাদের অংশ বন্ধ করে দিয়েছিল, তবে তা ছিল সাময়িক। পরে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ক্রসিংটি ফের খুলে দেয়া হয়, যদিও বিধিনিষেধ দেয়া হয় মানুষের যাতায়াতে। সাধারণত এই ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬-৭ হাজার মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে যায়; কিন্তু গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে ঢোকার অপেক্ষায় আফগান অংশে দাঁড়িয়ে থাকা মাত্র জনা পঞ্চাশেক লোককে দেখা গেছে বলে জানায় বিবিসি।
দশকের পর দশক ধরে পাকিস্তানে আফগান শরণার্থী প্রবেশের প্রধান পথ ছিল তোরখাম। তবে এখন আশ্রয়প্রার্থী আফগানের সংখ্যা অনেক কম। তালেবানরা কাউকে দেশ থেকে বের হতে দিচ্ছে না। ব্যবসায়ী এবং যাদের সীমান্ত অতিক্রমের বৈধ অনুমতি আছে কেবল তারাই ছাড় পাচ্ছেন। তবে এটাই একমাত্র কারণ নয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমান্তে ক্রমবর্ধমান সংঘাত-সহিংসতার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান তার নিজের অংশেও কড়াকড়ি বাড়িয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে তাদের সব সীমান্ত ক্রসিংয়ে এখন ব্যাপক সংখ্যক সশস্ত্র সেনা মোতায়েন থাকে, যে কারণে আফগান নাগরিকদের পক্ষে সরকারের অনুমতি ছাড়া পাকিস্তানে ঢোকা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬ সালের জুন থেকে পাকিস্তান সরকার তাদের ভূখণ্ডে ঢুকতে আফগান নাগরিকদের জন্য বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা বাধ্যতামূলক করে।
পাকিস্তানে গত কয়েক দশকে আশ্রয় নেয়া আফগান নাগরিকের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ; এদের অর্ধেকই অনিবন্ধিত। তালেবানের পুনরুত্থানের পর দেশ ছেড়ে পালাতে চাওয়া আফগানদের আশ্রয় দিতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানালেও ইসলামাবাদ বলছে, তারা আফগানিস্তান থেকে শরণার্থী নেয়ার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে নতুন আর কাউকে নেয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে দিয়েছে তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়