সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানববন্ধন

আগের সংবাদ

ঝুঁকিতে উদারপন্থি ও নারীরা : শরিয়া আইনে দেশ চালানোর ঘোষণা তালেবান প্রশাসনের, তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে

পরের সংবাদ

আফগান রণাঙ্গনে রক্তাক্ত ২০

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

২০০১
> তালেবানবিরোধী যুদ্ধবাজ নেতা আহমেদ শাহ মাসুদকে হত্যা করে আলকায়েদা বাহিনী। (এর পুরস্কার হিসেবে ৯/১১ এর পর ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় এবং সুরক্ষা দিতে দেখা যায় তালেবানদের।)
> ৯ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার টুইন টাওয়ার এবং পেন্টাগনসহ একঝাঁক মার্কিন স্থাপনায় সমন্বিত হামলা চালায় আলকায়েদার সদস্যরা। নিহতের সংখ্যা ছাড়া ৩০০০।
> ১৮ সেপ্টেম্বর বুশের যুদ্ধ ঘোষণা
> ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে বোমা হামলা শুরু।
> ডিসেম্বরে কাবুলে আসেন হামিদ কারজাই।
ন্যাটো ও মার্কিন হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে তালেবান বাহিনী।
ওসামা বিন লাদেন পালিয়ে যান তোরাবোরা পাহাড়ে।
২০০২
> জুন মাসে আফগান পার্লামেন্ট বা ‘লয়া জিরগা’ পশতুন নেতা দুররানি কারজাইকে তাদের নেতা নির্বাচন করেন।
২০০৩
> মে মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফিল্ড কাবুলে মার্কিন সেনাঘাঁটি পরিদর্শন করেন।
> আগস্ট মাসের দিকে ন্যাটোর সঙ্গে যোগ দেয় ৪২টি দেশ। সেনা সংখ্যা ৫ হাজার থেকে উন্নীত হয় ৬৫ হাজারে।
২০০৪
> প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন হামিদ কারজাই।
> ৩ অক্টোবর জর্জ বুশের নির্বাচনের দুই দিন আগে টিভিতে টুইন টাওয়ার হামলার দায় স্বীকার ও মার্কিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ওসামা বিন লাদেন।
২০০৫
> সেপ্টেম্বরের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে ভোট দেয় ৬০ লাখ আফগান।
২০০৭
> মে মাসের অভিযানে শীর্ষ তালেবান নেতা দাদুল্লাহকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী।
২০০৮
> আগস্ট মাসে রাজধানী কাবুল ও অন্যত্র তালেবান আত্মঘাতী ও গাড়িবোমা হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি বেড়ে যায়।
২০০৯
> দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন কারজাই।
> আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে হেলমান্দ প্রদেশে তালিবান শক্ত ঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীর হামলা।
> মার্চ মাসের দিকে লাদেনকে ধরতে পাকিস্তানের ওপর নজরদারি বাড়ান ওবামা।
> ডিসেম্বর মাসে ওবামা জানান
২০১১ সালের ভেতর আফগান ভূখণ্ড থেকে সব বিদেশি
সেনা প্রত্যাহার
করা হবে।
২০১১
> মে মাসে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে গোপন আস্তানায় মার্কিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হন ওসামা বিন লাদেন
> জুন মাসে সোন প্রত্যাহার শুরু করেন ওবামা।
> ডিসেম্বর মাসে জার্মানির বন সম্মেলনে আফগানিস্তান পুনর্বাসনে ১০ হাজার কোটি ডলার চান কারজাই।
২০১২
> মার্চ মাসে কাতারের দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দি-বিনিময় শর্তে সমঝোতা না হওয়ায় সংলাপ ছেড়ে যায় তালেবানরা।
২০১৪
> মার্চ মাসে ওবামা জানান, ২০১৬ সালের মধ্যে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শেষ হবে।
২০১৭
> এপ্রিল মাসে ননগড় প্রদেশে আইএস ঘাঁটির ওপর মোয়াব বোমা (অ-পারমাণবিক সর্বোচ্চ বিধ্বংসী ক্ষমতাসম্পন্ন) ফেলে মার্কিন বাহিনী
> আগস্ট মাসের দিকে ট্রাম্প বললেন যুদ্ধ আরো দীর্ঘস্থায়ী হবে।
২০১৮
> আফগানিস্তান জুড়ে শত শত আত্মঘাতী ও হাজার হাজার গাড়ি বোমা হামলা চালিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে তালেবান বাহিনী।

২০১৯
> ১২ সেপ্টেম্বর আলোচনা শুরু হলো আফগান সরকার ও তালিবান প্রতিনিধিদের মধ্যে।
২০২০
> ২৯ ফেব্রুয়ারি মার্কিন দূত খলিলজাতদ ও তালেবান নেতা আবদুল গনি বারদারের মধ্যে শান্তি চুক্তি সই।
২০২১
> ১৫ আগস্ট কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে দখল করে নিজেদেও বিজয় নিশ্চিত করল তালেবান যোদ্ধারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়