অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

রাবি অধ্যাপককে হত্যার হুমকির পুনঃতদন্ত দাবি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের সভাপতি এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. সুজিত কুমারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগের পুনঃতদন্ত দাবি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ দাবি জানান রাজশাহী প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান। সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর সভাপতিত্ব করেন। এতে যুক্ত হন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেনসহ বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা অন্য কমিটির সদস্যরা।
এ সময় রাজশাহী প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, রাবি শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগের পুনঃতদন্ত করতে হবে। কোনো সংসদ সদস্যের বাবা ‘রাজাকার’ হলে সেটি লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরার কারণে কাউকে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অবশ্যই সেই অভিযোগটি আবারো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সভায় সাংবাদিক সাইদুর রহমান আরো বলেন, চারপাশে অনিয়ম-দুর্নীতি। ভূমিদস্যুরা সব কিছু শেষ করে ফেলছে। দিন-দুপুরে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর-জলাশয়। ৮০’র দশকে নগরীতে থাকা প্রায় চার হাজার পুকুরের মধ্যে বর্তমানে রয়েছে মাত্র কয়েকশ পুকুর-জলাশয়। এসব বিষয়ে তদারকি করা প্রয়োজন।
এ দুটি বিষয়ের জবাবে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘রাবি শিক্ষক ও সাংসদের ব্যাপারটি যেহেতু তদন্তাধীন রয়েছে, সেহেতু ওটা তদন্ত শেষ হলেই আরো স্পষ্ট হবে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে পুকুর ভরাটের কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। পুকুর ভরাটকারীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক একটি বইয়ে রাজাকারের তালিকায় নাটোরের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাবার নাম থাকায় বইটির লেখক ও রাবির বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সুজিত কুমারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে ২৯ জুলাই নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই রাবি শিক্ষক। তবে জিডির তদন্ত করে কোনো সত্যতা পায়নি বলে জানায় পুলিশ।
এরপরই গত ৯ আগস্ট ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাটোরের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল। ঘটনার তদন্ত চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়