অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

বিএসইসি কমিশনার : পুঁজিবাজারকে শতভাগ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হবে

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. আবদুল হালিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম ভিত্তি পুঁজিবাজার। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আগামীতে নতুন নতুন সেবা উদ্বোবনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে শতভাগ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হবে। গতকাল মঙ্গলবার অনলাইনের মাধ্যমে ডিএসই টাওয়ারে ‘রিস্ক বেইজড ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রিপোর্টিং সফটওয়্যার অব ডিএসই এন্ড সিএসইর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আবদুল হালিম বলেন, নতুন নতুন সফটওয়্যার উদ্বোধন করলে চলবে না, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ সফটওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (রিস্ক বেইজড ক্যাপিটাল এডিকোয়েসি) রুলস, ২০১৯ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন প্রবর্তন করে, যা ২০১৯ সালে ২৯মে গেজেটে প্রকাশিত হয়। মিউচুয়াল ফান্ড এবং কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিমসহ কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ব্যতীত কমিশনের অধীনে রেজিস্টার্ড সব মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য এ রুলস প্রযোজ্য। এ রুলসের অধীনে প্রয়োজনীয় প্রতিবেদনগুলো শুধু সফটওয়্যারের মাধ্যমে জমা দেয়া যাবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সামাজিক উন্নয়নের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত ও প্রশংসিত। বর্তমান কমিশন বিগত এক বছরে অনেক কাজ করেছে। কমিশন যখন দায়িত্ব নিয়েছে তখন মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ছিল জিডিপির ১১ শতাংশ, বর্তমানে তা ১৭ শতাংশ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা তা ৫০ শতাংশে এ উন্নীত করতে পারব।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। সুকুক বা ইসলামিক বন্ড চালু করার জন্য ইতোমধ্যে কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিএসইসি দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নিয়ে সফটওয়্যারটি তৈরি একটি অসাধারণ বিষয়।

আমরা আশা করি, সফটওয়্যারটি ব্যবহারের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের মনিটরিং ও কমপ্লায়েন্স আরো জোরদার হবে। এর ফলে পুঁজিবাজার আরো সুন্দরভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিএসইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে ডিএসই ও সিএসই উভয়েই নিয়মের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিবেদন সংগ্রহের জন্য তাদের নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করেছে। বিএসইসি অথবা এক্সচেঞ্জ এ সফটওয়্যার ব্যবহার করে একটি ক্লিকের মাধ্যমে ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থা মূল্যায়ন করতে পারবে।
পরবর্তীতে সফটওয়্যারটি সম্পর্কে মুখবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. জিয়াউল করিম এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের হেড অব ইনফরমেশন সিস্টেম হাসনাইন বারী। ডিএসইর সফটওয়্যারটির বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সিনিয়র ম্যানেজার সৈয়দ মো. রাকিব উদ্দিন এবং সিএসইর সফটওয়্যারটির বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সিএসইর ম্যানেজার আদনান আব্দুর রাকিব।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শরিফ আনোয়ার হোসেন, সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন-উর-রশিদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, এসিএস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়