অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

পি কের কেলেঙ্কারি : এফএএস ফাইন্যান্সের ১২ পর্ষদ সদস্যকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এনআরবি গেøাবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় এফএএস ফাইন্যান্সের ১২ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) পরিচালনা পর্ষদের ১২ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সোয়া ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপপরিচালক আরিফ সাদেক নিশ্চিত করেছেন। এর আগে তলবি নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ৯টার সময় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন তারা। একই ইস্যুতে পর্যায়ক্রমে আজ বুধবার আরো ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।
গতকাল যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা হলেন- এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল হক গাজী, পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক এম এ হাফিজ, মো. আবুল শাহজাহান, কাজী মাহজাবিন মমতাজ, মাহফুজা রহমান বেবী, সোমা ঘোষ, ডা. উদ্দাব মল্লিক, মো. আতারুল ইসলাম এবং অরুণ কুমার কুণ্ডু। এর আগে সোমবার একই অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ১২ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। গত ৯ আগস্ট এফএএস ফাইন্যান্সের শীর্ষ ৩০ কর্মকর্তা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চার জনসহ মোট ৩৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক।
আজ বুধবার যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তারা হলেন- এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক অঞ্জন কুমার ঘোষ ও প্রদীপ কুমার নন্দী, স্বতন্ত্র পরিচালক বীরেন্দ্র কুমার সোম, সত্য গোপাল পোদ্দার, মোস্তফা আমিনুর রশীদ, পরিচালক মোস্তফা সাহেব, গ্রিনলাইন ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিলন কুমার দাস, জি এন্ড জি এন্টারপ্রাইজের গোপাল চন্দ্র গাঙ্গুলী এবং তামিম এন্ড তালহা ব্রাদার্স লিমিটেডের মো. মুনিরুল ইসলাম।
জানা যায়, আলোচিত পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের যোগসাজশে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও এফএএস ফাইন্যান্স থেকে লুটপাট হয় দুই হাজার কোটি টাকা। শুধুমাত্র একটি কম্পিউটার ব্যবহার করে ৩০টি কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে মর্টগেজ ছাড়াই ঋণ নিয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এর আগে নামে- বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন পি কে হালদার। কোম্পানিগুলো হলো- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)। এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন। পি কে হালদার কেলেঙ্কারিতে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১ জন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়