অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

ধার করা কর্মকর্তা দিয়ে চলছে মেহেরপুরের সড়ক বিভাগ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মেহেরপুর প্রতিনিধি : জেলার সড়ক বিভাগে বছরের পর বছর স্থায়ী কোনো নির্বাহী প্রকৌশলী নেই। অন্য জেলার প্রকৌশলীকে দেয়া হয়েছে মেহেরপুরের অতিরিক্ত দায়িত্ব। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম মেহেরপুর সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। এছাড়াও নজরুল ইসলাম মাগুরা সড়ক ও জনপদ বিভাগেও নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। একজন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পদ থাকলেও পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। চারজন উপসহকারী প্রকৌশলী পদ থাকলেও মাত্র একজন দায়িত্ব পালন করছেন। তাও চুয়াডাঙ্গা থেকে ধার করা। কার্যসহকারী একটি পদ শূন্য আছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালে মেহেরপুর সড়ক বিভাগ জেলা অফিস হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। গত ১০ বছরে মাত্র দুজন স্থায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। তারা হলেন শেখ আব্দুল আলী ও আনিসুজ্জামান মাসুদ। এদের কর্মপরিধি ছিল বছরখানেক মতো। পরবর্তীতে বা এর আগে কোনো স্থায়ী প্রকৌশলী হিসেবে মেহেরপুরে নিয়োগ পাননি।
যেসব কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন তারা হলেন শাহ নেওয়াজ, আবু হেনা, মোস্তফা কামাল, আব্দুল ওয়াদু, শেখ মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান, আহসান উদ্দিন আহমেদ, তুষার ক্রান্তি সাহা, রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার, শওকত আহমেদ মজুমদার।
জানা গেছে, সড়ক বিভাগ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণের ক্ষেত্রে এই বিভাগটি কাজ করে। কাজের স্বাভাবিক গতি বজায় রাখতে একজন স্থায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী প্রয়োজন বলে মনে করছেন মেহেরপুর সড়ক বিভাগের অন্য কর্মকর্তারা। কয়েকজন কর্মকর্তা আরো জানান, মেহেরপুর একটি ঐতিহাসিক জেলা। স্বাধীনতার সূতিকাগার বলা হয় মুজিবনগর তথা মেহেরপুরকে।
এছাড়াও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা হলো এই মেহেরপুর। সেক্ষেত্রে প্রতিমন্ত্রী সাহেবের সুদৃষ্টি পড়লে আমরা একজন স্থায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী পাব। তাহলে মেহেরপুর জেলায় সড়ক বিভাগের কর্মকাণ্ডে গতি বৃদ্ধি পাবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক অফিস সহকারী জানান, স্থায়ীভাবে নির্বাহী কর্মকর্তা না থাকার কারণে কোনো কোনো সময় তাদের ফাইল নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার স্থায়ী দায়িত্বের জেলায় আসা যাওয়া করতে হয়। ফলে ওইদিন অফিসের কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারেন না তিনি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকেদারদের অভিযোগ, স্থায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী, বিভাগীয় ও সহকারী প্রকৌশলী পদ থাকলেও লোকবল নেই। ফলে উন্নয়নমূলক কাজে সাইড দেখার জন্য কার্যসহকারী লোকবল সংকটে ঠিকাদাররা সঠিক সময়ে কাজ করতে পারেন না। অধিকাংশ সময় নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তার স্থায়ী জেলা থেকে কার্যসহকারীদের যাতায়াতসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা দিয়ে নিয়ে আসতে হয় কাজের সাইডে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান জানান, বিষয়টি নিয়ে আমাদের মাসিক সমন্বয় সভায় কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও জানানো হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়