অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

ডিএমপি কমিশনার : নতুন হামলার সক্ষমতা নেই জঙ্গিদের

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট রাজধানীসহ দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গিরা তাদের শক্ত অবস্থান জানান দেয়। শীর্ষ নেতারা কারাবন্দি ও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হলেও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি নতুনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে পারে, এমন আশঙ্কায় এইদিনে সারাদেশে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়। ১৭ আগস্ট প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তার দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় জঙ্গিরা কোণঠাসা হলেও তালেবানের আহ্বানে বাংলাদেশিদের যাওয়া দেশের জন্য পরবর্তীতে হুমকি হতে পারে। এজন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, দেশে জঙ্গিদের দমন করতে পেরেছেন তারা। তালেবানের আহ্বানে আফগানিস্তানে বাংলাদেশিদের যাওয়া এবং দেশে ফেরার বিষয়েও সচেতন তারা।
এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মিডিয়া, সোহেল রানা বলেছেন, সিরিজ বোমা হামলার সবগুলো মামলা আমরা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছি। অনেকগুলো মামলার বিচার শেষ হয়েছে। আবার অনেকগুলোরই বিচার চলছে।
প্রসঙ্গত, ওইদিনের জঙ্গি বোমায় একজন নিহত ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ১০৪ জন আহত হন। ঘটনার পরপরই সন্ত্রাসবাদ দমন আইনে সারা দেশে ওই সময় ১৫৯টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ১৮টি, চট্টগ্রামে ৮টি, রাজশাহীতে ৪টি, খুলনা মেট্রোপলিটনে ৩টি, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে ১২টি, এসএমপি ১০টি। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর রেঞ্জে পৃথকভাবে মামলা দায়ের করা হয়। সবগুলো মামলা পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করে। মামলাগুলোর মধ্যে ১৪২টি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। বাকি ১৭টি মামলার ঘটনার সত্যতা থাকলেও আসামি শনাক্ত করতে না পারায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয় পুলিশ। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিল ১৩০ জন এবং গ্রেপ্তার করা হয় ৯৬১ জনকে। আর ১ হাজার ৭২ জনের বিরুদ্ধে দেয়া হয় আদালতে চার্জশিট। সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ১৫৯ মামলার মধ্যে ৯৪টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। মামলা থেকে ৩৪৯ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ২৭ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেয়া হয়। তৎকালীন জেএমবির প্রধান ও ফাঁসি কার্যকর হওয়া শায়খ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইসহ শীর্ষ কয়েকজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়