সাগর তালুকদার, তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) থেকে : তারাকান্দা উপজেলায় চার গ্রামে প্রায় শত শত একর জমি জলাবদ্ধতার কারণে আবাদ করতে পারছেন না কৃষক। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, গালাগাঁও ইউনিয়নে বালিজানা, নলদীর্ঘী, বারই পুকুরিয়া, ধারাকান্দী গ্রামের জলাবদ্ধতার কারণে আমন ধান চাষ করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এই চিত্র জলবায়ু পরিবর্তন বা মৌসুমি বন্যার কোনো প্রভাব নয়। অপরিকল্পিতভাবে ফিশারি ও পুকুর খননের কারণে। ধারাকান্দি ও কানুহারীর মাঝখানে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি কালভার্ট ছিল। কিন্তু ধারাকান্দি গ্রামের হোসেন আলী চৌধুরী পুকুর খনন করে কালভার্টি বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন চার গ্রামের ভুক্তভোগী স্থানীয় কৃষক। নিচু ফসলি জমি মাছ চাষের জন্য পুকুরে রূপান্তর করা হচ্ছে। ফলে ধান আবাদ করতে পারেন না ওই এলাকার কৃষকরা। ওই পুকুরগুলোর উঁচু পাড় বর্ষার পানির স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এসব অপরিকল্পিত পুকুর কৃষকদের জীবন ও জীবিকা হুমকিতে ফেলছে।
বালিজানা ও নলদীর্ঘী গ্রামের কৃষক তারা জানান, মো. ইদ্দিস আলী (৬০), মো. বারেক মিয়া, জহুর উদ্দিন মাষ্টার (৬৫), মহর উদ্দিন (৭০) জলাবদ্ধতায় ধান চাষ করতে না পেরে কৃষক চাল ও গবাদি পশুর জন্য খড় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফসলের জমি না থাকায় তারা কাজও হারাচ্ছেন। পুরো উপজেলায় পুকুর খননের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন রাজনীতিবিদ ও ধনী প্রভাবশালীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হলে গ্রামবাসীরা রাস্তায় নামেন। পুকুরের কারণে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে কৃষক। এসব তিন ফসলি জমির অধিকাংশই জলাবদ্ধতার কারণে এক ফসলি জমিতে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে গালাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক (জিয়া) জানান, গত বছর স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বাঁধ কেটে দেয়া হয়েছে, কিন্তু চলমান সময়ে আবার হোসেন আলী চৌধুরী বাঁধ দিয়ে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে আমন ধান চাষে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।