চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি : চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন থেকে অচল হয়ে রয়েছে। এক্স-রে মেশিনটি অচল থাকার কারণে স্থানীয় জনসাধারণ স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
পৌর শহরের সুন্দরপুর গ্রামের হৃদয়, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক আবিদ রহমান, পল্লী চিকিৎসক নুর হোসেন পলাশসহ স্থানীয় অনেকে জানান, মহামারি করোনাকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী নিয়ে এলে চিকিৎসক এক্স-রে করতে বললেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ মেশিন দীর্ঘ দিন থেকে অচল থাকায় তা করা যায় না। দীর্ঘদিন থেকে এক্স-রে রুমের দরজায় লেখা আছে ‘এক্স-রে মেশিন যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ’। একজন রিকশাচালক বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে করতে ১০০ টাকা লাগে কিন্তু প্রাইভেট ক্লিনিকে করতে ৫০০ টাকা লাগে। ১০০ টাকার ব্যবস্থা করতেই আমাদের অনেক কষ্ট হয়, ৫০০ টাকা দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে কেমনে এক্স-রে করব।’ এমতাবস্থায় স্থানীয়রা করোনাকালে দ্রুত চাটখিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন সচল করা কিংবা নতুন মেশিন দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোশতাক আহমেদ জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি অচল থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে গত মার্চে কর্তৃপক্ষ সার্ভে করে গিয়েছেন। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন দেয়ার কথা রয়েছে, কিন্তু এখনো এক্স-রে মেশিন আসেনি।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ ইফতেখারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি চাটখিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন অচল স্বীকার করে বলেন, মেশিনটি আমরা প্রথমে মেরামত করার চেষ্টা করব। যদি রিফারিং করা সম্ভব না হয় তাহলে নতুন ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।