অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

এশিয়াটিক সোসাইটি : শামসুল আরেফীনের মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষে ৯৮টি নিবন্ধ প্রকাশ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের স্বনামধন্য লোকগবেষক ও কবি শামসুল আরেফীনের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ৯৮টি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ’- নামে এশিয়াটিক সোসাইটির ১০ খণ্ডের বইয়ে এসব নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ২০২০-২১ এ প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষের প্রধান সম্পাদক হলেন অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজাহান মিয়া।
শামসুল আরেফীন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ‘এনসাইক্লোপিডিয়া অব বাংলাদেশ ওয়ার অব লিবারেশন প্রজেক্ট’-এর আওতায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় তথ্য সংগ্রাহক, গবেষক ও নিবন্ধকার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। ‘এনসাক্লোপিডিয়া অব বাংলাদেশ ওয়ার অব লিবারেশন’-এর প্রধান সম্পাদক ও প্রকল্প পরিচালক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এ প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ চট্টগ্রামে শামসুল আরেফীনকে নিবন্ধকার হিসেবে নিয়োগ দেন।
মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষের ১০টি খণ্ডেই তার নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধগুলোতে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, পটিয়া, কর্ণফুলী, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এবং চট্টগ্রামের কালুরঘাট এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত জ্বালাও-পোড়াও, হত্যা, গণহত্যা, অপারেশন, অ্যাম্বুশ, সম্মুখযুদ্ধ প্রভৃতির বিবরণ দেয়া হয়েছে।
এসব অঞ্চলের রাজাকারের তালিকা এবং বধ্যভূমির বিবরণ দেয়া হয়। প্রতিরোধ যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের নাম ও ভূমিকা, বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা বাহিনীর বিস্তারিত তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সদর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী শামসুল আরেফীন ’৯০ দশকের প্রথমে ছড়া-কবিতা দিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। এরই মধ্যে তিনি লোকগবেষণায় স¤পৃক্ত হয়ে বিলুপ্ত ও বিস্মৃতপ্রায় লোককবি ও তাদের রচনা উদ্ধারে কাজ শুরু করেন।
চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে তিনি বিলুপ্ত ও বিস্মৃতপ্রায় শতাধিক লোককবির সন্ধান লাভ করেন তিনি।
দেশের খ্যাতনামা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বলাকা, হাওলাদার ও তৃতীয় চোখ থেকে তার প্রকাশিত ১৮টি গ্রন্থের মধ্যে আহমদ ছফার অন্দরমহল (২০০৪), রুবাইয়াত-ই-আরেফীন (কাব্য; ২০১৪), বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার দুর্লভ দলিল (২০১৬), আঠারো শতকের কবি আলী রজা ওরফে কানুফকির (২০১৭) এবং আস্কর আলী পণ্ডিত: একটি বিলুপ্ত অধ্যায় (২০০৬) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়