অক্সিজেন ঘাটতি নিয়ে রওশন এরশাদ আইসিইউতে

আগের সংবাদ

এবার লক্ষ্য কূটনৈতিক জয় : তালেবানের ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ >> চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত

পরের সংবাদ

এলপিজি নিয়ে বিইআরসির গণশুনানি স্থগিত

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এলপিজির মূল্য পুনর্নির্ধারণে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানি স্থগিত করা হয়েছে। হাইকোর্টে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) দায়ের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিইআরসির উদ্যোগ আটকে যায়। গতকাল মঙ্গলবার গণশুনানির দিন নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তা স্থগিত থাকবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল জানান, ক্যাবের দায়ের করা রিট আবেদনের নোটিসটি আমরা হাতে পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত আদালতের আদেশের কপি আমরা পাইনি। আদালতের নির্দেশ অবশ্যই পালন করতে হবে। আমরা কমিশনের মিটিংয়ে বসে বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। হাইকোর্টের রুল বিশ্লেষণ করে বিইআরসির পক্ষ থেকে জবাব দেয়া হবে।
জানা গেছে, দেশে এলপিজি গ্যাসের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। ২০ বছর আগে এলপিজির ব্যবহার শুরু হওয়ার পর থেকে কোম্পানিগুলো নিজেদের ইচ্ছেমতো দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করত। সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে ২০১৬ সালে ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব রিট আবেদন করে। দীর্ঘদিন পর ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট আদালত আদেশের এক মাসের মধ্যে এলপিজির দাম নির্ধারণের জন্য জ¦ালানি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিইআরসিকে নির্দেশ দেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে বিইআরসি আদালতের নির্দেশ অমান্য করে দাম নির্ধারণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এরপর আদালত কঠোর অবস্থান নিলে বিইআরসি আদালতের কাছে ক্ষমা চায় এবং গত ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। এরপরে আরো চারটি আদেশ দেয়। ভোক্তা পর্যায়ে সরকারি এলপিজি গ্যাসের প্রতি সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৯১ টাকা এবং বেসরকারি কোম্পানির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
বিইআরসি তখন জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতি মাসেই দাম পরিবর্তিত হতে পারবে। সর্বশেষ বিইআরসি গত ২৯ জুলাই আদেশ দেয়। এই আদেশ অনুযায়ী বর্তমানে এলপিজির সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৯৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সরকারি সিলিন্ডারের আগের দাম ৫৯০ টাকাই বহাল রয়েছে।
কিন্তু দেশীয় কোম্পানিগুলো বিইআরসির আদেশ অনুযায়ী দেশের কোথাও এলপিজির সিলিন্ডার বিক্রি করেনি। ব্যবসায়ীরা বারবার আন্তর্জাতিক বাজারে পাইকারি গ্যাসের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকার অজুহাত দেখিয়ে আসছে।
সব সময়ই বেসরকারি কোম্পানিগুলো নির্ধারিত দামের চেয়ে সিলিন্ডার প্রতি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দিতেই বিইআরসি নিয়ম ভঙ্গ করে আবারো গতকাল মঙ্গলবার এলপিজির দাম নির্ধারণে গণশুনানির উদ্যোগ নিয়েছিল।
কিন্তু ক্যাবে দায়ের করা রিটের পর হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ও বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম জানান, এলপিজি ব্যবসায়ীরা অনেকদিন ধরেই ভোক্তাদের জিম্মি করে মুনাফা নিয়েছে।
আমরা শৃঙ্খলায় ফেরানোর চেষ্টা করলেই তারা বাধা দিচ্ছে। বিইআরসি তাদের নির্ধারণ করা মূল্য ব্যবসায়ীদের মানাতে বাধ্য করতে পারেনি, এটা বিইআরসির ব্যর্থতা। এরপরেও তারা আবার দাম পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নিলে আমরা আবারো আদালতের কাছে গিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়