কাগজ প্রতিবেদক : খালেদা জিয়ার জন্মদিন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ‘অরাজনৈতিক ও শিষ্টাচার বিবর্জিত’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এ দেশের গণতন্ত্রের সঙ্গে একটা অবিচ্ছেদ্য নাম। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তার যে সংগ্রাম, তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। এখনো তিনি সেই সংগ্রামই চালিয়ে যাচ্ছেন।
খালেদা জিয়ার ৭৬তম জন্মবার্ষিকী এবং সারাদেশে করোনাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম বক্তব্য রাখেন। খালেদার জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে দোয়ার আয়োজন করা হয়।
গত শনিবার এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ভুয়া জন্মদিন পালন করে খালেদা জিয়া জাতির সঙ্গে প্রতি বছর তামাশা করেন। তিনি খালেদা জিয়ার কয়েকটি জন্ম তারিখ উল্লেখ করে বলেন, ফখরুল সাহেবের কাছে আমি জানতে চাই, একজন মানুষের কয়টা জন্মদিন থাকতে পারে?
ফখরুল বলেন, আমাদের যে অবৈধ সরকার আওয়ামী লীগ যেটা আমাদের বুকের উপর চেপে বসে আছে তার সাধারণ সম্পাদক দেশনেত্রীর জন্মদিন সম্পর্কে একেবারে অরাজনৈতিক ও শিষ্টাচার বিবর্জিত কথা বলেছেন। আমি অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
এসব বক্তব্য খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণ মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণের নেত্রীকে জনগণের সামনে আসতে না দেয়া এবং তিনি যেন রাজনীতিতে সক্রিয় হতে না পারেন সেজন্য ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত তারা করছে।
আমরা বিশ্বাস করি এই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ব্যর্থ হবে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের গণটিকা কর্মসূচি জনগণের সঙ্গে আরেকটি তামাশা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।