বিজিএমইএ : সব স্থলবন্দর দিয়ে ইয়ার্ন আমদানির সুযোগ দাবি

আগের সংবাদ

করের আওতায় আসছেন ব্যাংকের কার্ডধারীরা!

পরের সংবাদ

দাউদকান্দিতে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : রাহেজুল আমিন বাঁধন। এলাকায় পরিচিত কিশোর গ্যাং বাঁধন নামে। পুলিশ কনস্টেবল হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পান না। ২০১৪ সাল থেকে দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ও মালিগাঁও ইউনিয়নের চলছে তার বেপরোয়া আধিপত্য। দুটি ইউনিয়নের ৫ গ্রামের মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পুঁটিয়া এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে ৫ গ্রামের কয়েক হাজার লোক অংশ নেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, বাসরা গ্রামের আলী আহাম্মদের ছেলে বাঁধনের অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ। কোনো অনুষ্ঠান করলেই তাকে চাঁদা দিতে হয়। তার নামে মামলা করলে উল্টো বিপদে পড়তে হয়। ২০১৬ সালে ৫ ডিসেম্বর চাপাতুলি গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর ও নগদ টাকাসহ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৭ ডিসেম্বর কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ করলে পরবর্তী সময়ে ১৪ ডিসেম্বর দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা আকারে রুজু করা হয়। মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে বাঁধনের নাম বাদ যাওয়ায় এলাকায় সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
বাসরা সাদ্দাম হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী জানান, ২০১৬ পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হওয়ার পর সে এলাকায় একটি বাহিনী তৈরি করে। তার বাহিনী এলাকায় পুকুর ও জায়গা দখলসহ চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে এসে সে এসব কর্মকাণ্ডের তদারকি করত। প্রতিবাদ করায় সে তার লোকজন নিয়ে আমার ওপর হামলা করে। এ নিয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে সে একবার বরখাস্তও হয়।
আরেক বাসিন্দা আলী আহম্মদ মিয়াজী বলেন, মালিগাঁও এবং ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের মানুষ কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না। তারা যে কোনো সময় কিছু করে ফেলতে পারে। কেউ বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে চাঁদা না দিলে রাতের অন্ধকারে ইট, বালু, রড নিয়ে যায়। তারা মূলত বাঁধন গ্রুপের লোক। এই কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। এই কিশোর গ্যাংয়ের কারণে বাসরা, বায়নগর, লখাইতুলি, চাপাতুলি ও হাটখোলা গ্রামের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। তাদের নামে ১০-১২টি মামলা রয়েছে। আমরা কিশোর গ্যাংমুক্ত এলাকা চাই। যারা কিশোরদের মদত দিচ্ছে তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মো. জুয়েল রানা বলেন, সম্প্রতি বাসরা গ্রামে বিট পুলিশিং সভায় কিশোর গ্যাং নিয়ে এলাকাবাসী বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। বাঁধন নোয়াখালী জেলা পুলিশে কর্মরত। তার নামে দাউদকান্দি থানায় মামলার বিষয়টি ডিএসবির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলা ইউনিটকে অবগত করেছি। ডিপার্টমেন্টে তার নামে প্রসিডিং শুরু হয়েছে। যতটুকু জানি সে একবার গ্রেপ্তার হয়েছিল। বর্তমানে বরখাস্ত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টের আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়