বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স

আগের সংবাদ

তালেবান আতঙ্কে বিশৃঙ্খলা > আফগানদের দেশ ছাড়ার হিড়িক : উড়ন্ত বিমান থেকে খসে পড়ল তিনজন

পরের সংবাদ

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল : বঙ্গবন্ধু একটি জাগ্রত ইতিহাস বর্ণিল ঐশ্বর্য

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগস্ট মাসটি বাঙালি জাতি তথা বাংলাদেশের জন্য শোকের মাস। হৃদয়ের রক্তক্ষরণের মাস; অনুভূতি, উপলব্ধি ও মননশীলতার পরতে পরতে অসহ্য ও তীক্ষè যন্ত্রণা বয়ে যাওয়ার মাস। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকের দিন। বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিও অশ্রæসিক্ত হওয়ার দিন। পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রæর প্লাবনে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়, বঙ্গবন্ধু হলেন একটি জাগ্রত ইতিহাস। একটি স্বাধীন জাতিসত্তার অপরিমেয় অহংকার, বর্ণিল ঐশ্বর্য।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল রবিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী এ সময় বলেন, ইতিহাসের জঘন্যতম সেই কালরাতে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়স্বজনসহ হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া, সারা বিশ্ব হতবাক হয়ে যায় এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প।
মুস্তফা কামাল বলেন, তার কালজয়ী নেতৃত্বকে ঘিরেই আবর্তিত হয় প্রতিটি আন্দোলনের স্রোতধারা। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ আজ আধুনিক বাংলার রূপকার ও বর্তমান প্রজন্মের কিংবদন্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ১৫ আগস্ট শোকের দিন, জাতির জন্য একটি কলঙ্কিত দিন। একটি কালো অধ্যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিতে চেয়েছিলেন- এ দিনে ঘাতকরা হত্যা করে সেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিকে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে আসার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শূন্য থেকে শুরু করেন দেশ বিনির্মাণের কঠিনতম কাজ। ১৯৭২ সালেই তিনি প্রণয়ন করেন বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। তিনি বাংলাদেশের আর্থসামজিক উন্নয়নের সামগ্রিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন, যার ভিত্তিমূলে আমাদের আজকের বাস্তবতা রূপ লাভ করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়