অশ্রুডানায় সূর্য খোঁজার পালা

আগের সংবাদ

শূন্য অর্থনীতি থেকে উন্নয়নের রোল মডেল

পরের সংবাদ

নির্মূল কমিটির আন্তর্জাতিক সম্মেলন : পাকিস্তানি সন্ত্রাস রপ্তানি নীতি বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য হুমকি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সন্ত্রাস সম্পর্কে পাকিস্তান যদি নীতি পরিবর্তন না করে তবে এটিকে অবশ্যই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। পাকিস্তানকে দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। পাকিস্তান যে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়নি তার প্রধান কারণ এই দেশটির জন্য চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অর্থসাহায্য। মার্কিন সিনেটর ল্যারি প্রেসলির উদ্ধৃতি দিয়ে বক্তারা বলেছেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাস রপ্তানি নীতি বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আগে ভারত ও বাংলাদেশ পাকিস্তানের প্রধান লক্ষ্য ছিল, এখন আফগানিস্তান এ তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছে।
গতকাল শনিবার ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র উদ্যোগে ‘পাকিস্তান : আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক একটি দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ শীর্ষক পাকিস্তানবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একথা বলেন বক্তারা।
সভাপতিত্ব করেন নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক, চলচ্চিত্রনির্মাতা শাহরিয়ার কবির। ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শহীদ ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পৌত্রী সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত বেলুচ বুদ্ধিজীবী ড. নাসির দাস্তি, যুক্তরাষ্ট্রের আফগান ইন্টেলেকচুয়ালস গেøাবাল কমিউনিটির সভাপতি আফগান লেখক শাহি সাদাত, যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ল্ড সিন্ধি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা ড. লাকুমাল লুহানা, বেলুচ ভয়েসের সভাপতি সুইজারল্যান্ডে নির্বাসিত মানবাধিকার নেতা মুনীর মেঙ্গল, যুক্তরাজ্যের রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, নির্মূল কমিটির সর্ব ইউরোপীয় শাখার সভাপতি সমাজকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী ও ভারতের ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক প্রিয়জিৎ দেব সরকার।
শাহরিয়ার কবির বলেন, ৯/১১-এর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর থেকে পশ্চিমের বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক পাকিস্তানকে দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র বলেছেন। বিপুল বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াও পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও সামরিক বাহিনী আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলে পপি চাষ থেকে হাজার হাজার কোটি ডলার আয় করছে, যা ব্যয় হচ্ছে সন্ত্রাস উৎপাদনের জন্য।
পাকিস্তান কীভাবে তালেবান ও আল কায়দার মতো সন্ত্রাসী জিহাদি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এ নিয়ে পাকিস্তানি গবেষকরাও প্রচুর লিখেছেন। পাকিস্তান হচ্ছে বিশ্বের প্রধান সন্ত্রাস উৎপাদনকারী, বিপণনকারী ও রপ্তানিকারী দেশ। বিশ্বব্যাপী পাকিস্তান ও সন্ত্রাস সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে।
আফগান লেখক শাহি সাদাত বলেন, আফগানিস্তানের কান্দাহারের রাস্তায় শত শত আফগান নাগরিকদের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তালেবানরা তাদের বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে। তালেবানসহ পাকিস্তানে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে মদত দেয়ার জন্য পাকিস্তানের অর্থের উৎস কোথায়? পশ্চিমা দেশগুলো কেন এই আর্থিক উৎস বন্ধ করছে না?
মানবাধিকার নেতা ড. লাকুমাল লুহানা বলেন, আল কায়দার সহায়তাকারী পাকিস্তান তালেবানদের প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে ডজন ডজন জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরি করেছে। বর্তমানে অকার্যকর রাষ্ট্র পাকিস্তানে এ অবস্থা চলতে থাকলে এই অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোতে বিভিন্ন জঙ্গি হামলা ও অস্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়