একাই কোকোর কবর জিয়ারত করলেন রিজভী

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিবেশ তৈরি করে পাকিস্তান ও আমেরিকা

পরের সংবাদ

শেরপুরে মোবাইলে আসক্ত বাড়ছে শিশুদের

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাহিদ আল মালেক, শেরপুর (বগুড়া) থেকে : প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বগুড়ার শেরপুরে মোবাইল ফোনে আসক্ত বাড়ছে শিশু-কিশোরদের। দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনে বুঁদ হয়ে থাকায় তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া মোবাইল ফোনে আসক্তির কারণে ঘটছে নানাবিধ কিশোর অপরাধ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে উপজেলার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। ফলে শিশু-কিশোররা অনলাইনে ক্লাসের জন্য মোবাইল স্মার্টফোন হাতে পাচ্ছে। কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা ক্লাসের ফাঁকে ভিডিও গেমসহ মোবাইল ফোনের বর্ণিল দুনিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার মোড়ে, চায়ের দোকানে, স্কুলের বারান্দায়, খেলার মাঠে এমনকি জমির আইলেও চোখে পড়ে মোবাইল ফোন হাতে ব্যস্ত শিশু-কিশোরদের। এদের কেউ কেউ অভিভাবকদের ফাঁকি দিয়ে ফ্রি ফায়ার-পাবজিসহ নানা ধরনের অনলাইন গেম ও জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এমনকি মোবাইল ফোন কিনে না দিলে কিংবা ব্যবহার করতে না দিলে সৃষ্টি হচ্ছে পারিবারিক অশান্তি, আত্মহত্যাসহ নানা ধরনের অপরাধ।
শেরপুর ডিজে সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আখতার উদ্দিন বিপ্লব জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনার ফাঁকে অনেকেই মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। পরবর্তী সময় তা ব্যবহার করতে না পেরে ঘটাচ্ছে নানা দুর্ঘটনা। এসব প্রতিরোধে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। ছাত্ররা যেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র পাল জানান, শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিকালে খেলাধুলার পরিবর্তে মোবাইল ফোনে সময় দিচ্ছে, যা শারীরিক ও মানসিকভাবে শিক্ষার্থীদের বিকাশকে রুদ্ধ করে দিচ্ছে। শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মওদুদ আদনান জানান, দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার যে কোনো মানুষের জন্যই ক্ষতিকর।

তাছাড়া শিশু-কিশোররা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তা শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য নির্দিষ্ট সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ময়নুল ইসলাম জানান, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল ফোনে শিশু-কিশোররা আসক্ত হয়ে পড়ছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুখবর নয়। এটি বন্ধে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়