একাই কোকোর কবর জিয়ারত করলেন রিজভী

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিবেশ তৈরি করে পাকিস্তান ও আমেরিকা

পরের সংবাদ

শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) থেকে : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ওয়াজেদা পারভীনের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির (দুপ্রক) সহসভাপতি পরিচয়ে অন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠানটির সব শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান সামাদ, সিনিয়র শিক্ষক মতিউর রহমান, সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আতাউল গণি ওসমানি, লুৎফর রহমান, সহকারী শিক্ষিকা তাহমিনা আক্তার পপি, ট্রেড ইন্সট্রাক্টর হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ওয়াজেদা পারভীন নিয়োগের পর থেকেই নানা অনিয়ম করে আসছেন। তিনি উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহসভাপতি হওয়ায় দাপট দেখিয়ে অন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে প্রায়ই অসদাচরণ করেন। বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ২০১৫ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রায় ৫৮ লাখ টাকা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। তারা আরো বলেন, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরদিন ১০ এপ্রিল থেকে প্রধান শিক্ষিকা ওয়াজেদা পারভীনকে ২০ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শাহজাদা স্বাক্ষরিত পত্রে একই সঙ্গে তাকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে অর্থ তছরুপের ব্যাখ্যা চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যস্থতায় পুনরায় তাকে বিদ্যালয়ে যোগদান করানো হয়। এদিকে প্রধান শিক্ষিকার স্থায়ী শাস্তি না হওয়ার ক্ষোভে প্রতিষ্ঠানটির সব শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধন চলাকালে বিদ্যালয়ের প্রতিবেশী নিয়ামত আলী ভেন্ডার প্রধান শিক্ষিকার পক্ষ নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের লাঞ্ছিত করে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের লোহার একটি বড় গেট প্রধান শিক্ষিকা নিয়ামত আলীকে বিনামূল্যে দিয়ে দেন। তাদের মধ্যে গোপন যোগসাজশ রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা ওয়াজেদা পারভীন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি অসুস্থ মানুষ, আমার অনুপস্থিতিতে মানববন্ধনের বিষয়টি দুঃখজনক। অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন বলেও তিনি দাবি করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শাহজাদা বলেন, মানববন্ধনের বিষয়টি আমি অবগত নই। এর আগে তার বিরুদ্ধে কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়