কাগজ ডেস্ক : মিয়ানমারের সাবেক সামরিক জান্তাপ্রধান থান শোয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হলেও তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। সাবেক এ জ্যেষ্ঠ জেনারেল ভিন্নমত দমন ও বিরোধীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালিয়ে প্রায় দুই দশক দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন।
২০১১ সালে বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রেও তার ইতিবাচক ভূমিকা ছিল বলে জানায় গণমাধ্যম। অন্যদিকে দেশটিতে এখন করোনা ভাইরাসে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ জন মারা যাচ্ছে বলে সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, তবে এই সংখ্যাও কম বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর এক দশকের মাথায় শোয়ের উত্তরসূরি মিন অং লাইং ফের মিয়ানমারের ক্ষমতা কব্জা করেন। তার হাত ধরে সেনাবাহিনী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে শাসনভার নেয়। ৮৮ বছর বয়সি শোয়ে ও তার স্ত্রীকে কয়েকদিন আগে রাজধানীর থাইক চংয়ে সেনা মালিকানাধীন একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয় বলে সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী।
সাবেক এ জান্তাপ্রধান ও তার স্ত্রীর দেহে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং তারা অন্তত দুই সপ্তাহ হাসপাতালে থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থাকে এমনটাই বলেন হাসপাতালের এককর্মী। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পায়নি রয়টার্স। ক্ষমতাসীন জান্তার স্বাস্থ্যবিষয়ক মুখপাত্রকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
রাজধানীর এক সরকারি কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে হাসপাতালে ভর্তি থান শোয়ের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানালেও তার দেহে কোভিড ধরা পড়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি। অসংখ্য স্বাস্থ্যকর্মী জান্তাবিরোধী অবস্থান নিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়ায় কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় মিয়ানমারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যদিও সেনাবাহিনী এখন টিকাদানের গতি বাড়াতে চেষ্টা করছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।