কাগজ প্রতিবেদক : খালেদা জিয়ার আসল জন্মদিন জাতির সামনে প্রকাশের দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ১৫ আগস্ট জাতির জন্য শোকের দিন। এদিন খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৮ জন মানুষকে হত্যা করেছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে খালেদা জিয়া এই শোকের দিনে আইএসআইয়ের পরামর্শে জন্মদিন পালন শুরু করে। তবে কোনো কাগজপত্রে তার জন্মদিন ১৫ আগস্ট নেই। জাতির শোকের দিনে মিথ্যাচার ছেড়ে আসল জন্মদিন জাতির সামনে প্রকাশের দাবি জানাই। গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দুস্থদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শহীদুর রশিদ ভুঁঁইয়ার সভাপতিত্বে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইদুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ, কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, খালেদা জিয়ার এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী, তার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ৯ আগস্ট, ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট। আর ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন উদযাপন করে আসছেন। করোনা টেস্টের যে রিপোর্ট ফেসবুকে ছড়িয়েছে তাতে তার জন্মদিন উল্লেখ রয়েছে ৮ মে ১৯৪৬ সাল। আসলে আসল কোনটা? তিনি বলেন, আমরা শুনছি তারা আবারো এদিন জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। তাকে অন্তত জাতির শোক নিয়ে বিকৃত তামাশা বন্ধের আহ্বান জানাই।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। কয়েকজন পালিয়ে আছে। তাদের দেশে এনে রায়ও কার্যকর হবে। তবে সেদিনের হত্যাকারীদের যারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, পুনর্বাসন করেছে তাদেরও বিচার করতে হবে। আমরা চাই চিরদিনের জন্য ষড়যন্ত্র বন্ধ হবে। এ সময় একশজন মানুষকে পাঁচ কেজি চাল, তিন কেজি আলু, এক কেজি ডাল, এক কেজি তেল, ১টা সাবান, এক কেজি পেঁয়াজ, এক বাক্স মাস্ক পাটের ব্যাগে করে সরবরাহ করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।