একাই কোকোর কবর জিয়ারত করলেন রিজভী

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিবেশ তৈরি করে পাকিস্তান ও আমেরিকা

পরের সংবাদ

ডমিঙ্গোর সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ করবে বিসিবি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিদেশি নামিদামি বেশ কয়েকজন কোচের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে ২০১৯ সালে দুই বছরের চুক্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রাসেল ক্রেগ ডমিঙ্গোকে নিয়োগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রোটিয়া এই কোচের সঙ্গে ২০ আগস্ট চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। এরপর কার হাতে তামিম-সাকিবদের দায়িত্ব দেয়া হবে তা নিয়ে ভাবনায় ডুবে আছেন ভক্তরা। কিন্তু হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ করতে চায় বিসিবি। যদিও এ বিষয়ে ডমিঙ্গো কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে কিছু জানা যায়নি। তবে দ্রুত ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে বিসিবি খোলাসা করবে।
এছাড়া জিম্বাবুয়ে সফরে টাইগারদের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার অ্যাশওয়েল প্রিন্স। বাংলাদেশের সঙ্গে এতদিন খণ্ডকালীন চুক্তিতেই কাজ করছিলেন তিনি। তবে এবার প্রিন্সের সঙ্গে স্থায়ী ভিত্তিতে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তামিম-মুশফিকদের ব্যাটিং কোচ হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন আগামী ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ব্যাটসম্যানের কাজে খুশি বিসিবি। তাই মুশফিক-লিটনদের ব্যাটিং ধার আরো বাড়াতে তার কাঁধে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রিন্সের যোগ দেয়ায় বাংলাদেশ দলে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচিং স্টাফ আরো সমৃদ্ধ হলো। হেড কোচ হিসেবে তো রাসেল ডমিঙ্গো রয়েছেনই, সঙ্গে ব্যাটিং কোচ হিসেবে যোগ দিলেন প্রিন্স। এর আগে ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ মঞ্চে টাইগারদের ব্যর্থতার পর স্টিভ রোডসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিসিবি। একই বছর আগস্টে টাইগারদের হেড কোচের দায়িত্ব দেয়া হয় ডমিঙ্গোর কাঁধে। তাকে দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে টাইগার ক্রিকেটের চিত্রটাই বদলে গেছে। টেস্টে শতভাগ না হলেও টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে ফরমেটে তামিম-মুশফিকদের বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে এ বছর এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরের আগে হঠাৎ গুঞ্জন শোনা যায়, টাগারদের সঙ্গে শেষ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচের অধ্যায়। তবে লঙ্কায় মুমিনুলরা এক টেস্ট ড্র করলে ডমিঙ্গো প্রাণ ফিরে পায়। এরপর জিম্বাবুয়ে সফরে তার শিষ্যরা তিন ফরমেটেই সিরিজ জিতে নেয়। এমনকি ঘরের মাঠে ৪-১ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। কিন্তু অজিদের বিপক্ষে হয়তো সিরিজটা রক্ষা করাই বড় লক্ষ্য ছিল।
তাই বলার অপেক্ষা রাখে না এমন টানা জয়ে ফিরে মেরুদণ্ড সোজা হয়েছে টাইগার প্রধান কোচের। তাই মুখেও ফুটে আত্মবিশ্বাসী বুলি। এবার ফের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের হুংকার দিয়েছেন প্রোটিয়া এই কোচ। কিন্তু এ সিরিজের আগে চলতি মাসের ২০ আগস্ট ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাবে বিসিবির। এরপর তাকে নিয়ে কি ভাবনা বিসিবির? এ বিষয় বোর্ডের পক্ষ থেকে জানা গেছে, নতুন কোচ নিয়োগের বিষয়ে একেবারেই ভাবছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ডমিঙ্গোর সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ করতে চায় বিসিবি। দুই পক্ষের আলোচনা ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে। খুব দ্রুতই আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
এছাড়া গত দুই বছর বাংলাদেশ দলকে যেভাবে গুছিয়ে এনেছেন ডমিঙ্গো। তার মেয়াদকালে করোনা ভাইরাসে কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এতে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বেগ পেতে হয় তাকে। তবুও দক্ষিণ আফ্রিকার কোচের দায়িত্বকালে টাইগারদের মাঠের পারফরম্যান্স নেহায়েত মন্দ নয়। সাদা পোশাকে ডমিঙ্গো খুব বেশি সফলতা এনে দিতে না পারলেও সীমিত ওভারের ফরমেটে ভালো করছে বাংলাদেশ দল। ডমিঙ্গো দায়িত্ব নেয়ার পর ১০টি টেস্ট খেলে ৭টিতেই হেরেছেন মুমিনুল হকরা। তবে ১৫টি ওয়ানডে ১১টিতে জেতে টাইগাররা। আর ২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা জয়ের স্বাদ পেয়েছে ১২ ম্যাচে।
এছাড়া টাইগারদের ব্যাটিং কোচের স্থায়ী দায়িত্ব নিতে ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় সব কিছুর ইতি টেনে দিয়েছেন প্রিন্স।
এতদিন ঘরোয়া দল ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের হেড কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের স্থায়ী দায়িত্ব নিতে সেখান থেকে পদত্যাগও করেছেন প্রিন্স। সাবেক প্রোটিয়া এই ক্রিকেটার জিম্বাবুয়ে সফর থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে বাংলাদেশ দলের সঙ্গী হয়েছিলেন। সে সময় বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই প্রিন্সের চুক্তি পাকাপোক্ত করা হতে পারে। ফলে টাইগারদের ভালো পারফরম্যান্সেরই সুফল পেলেন প্রিন্স।
এদিকে প্রোটিয়াদের হয়ে ৬৬টি টেস্ট, ৫২টি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলা প্রিন্সের ক্যারিয়ার বিস্তৃত ছিল ২০০২ থেকে ২০১১ সাল। এরপরই তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে কোবরাসের হয়ে সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এরপর পুরোপুরি দায়িত্ব নেন একই মৌসুমে। তার অধীনে কোবরাস কোনো ট্রফি জেতেনি অবশ্য। তবে তার হাত ধরেই বেশ কিছু খেলোয়াড় বের হয়েছে যারা এখন জাতীয় দলে। তারা হলেন- মালান ভ্রাতৃদ্বয় ছাড়াও জুবাইর হামজা, কাইল ভেরেইন ও জর্জ লিন্ডে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়