একাই কোকোর কবর জিয়ারত করলেন রিজভী

আগের সংবাদ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিবেশ তৈরি করে পাকিস্তান ও আমেরিকা

পরের সংবাদ

কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি : ঊর্র্ধ্বমুখী সবজি ও চালের দাম, বিপাকে নি¤œ আয়ের মানুষ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শীতের আগাম সবজি শিম ও ফুলকপি রাজধানীর বাজারগুলোয় চলে এসেছে। তবে দাম চড়া। শিম কিনতে ক্রেতাদের কেজিতে ১৬০-২০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। আর ছোট একটা ফুলকপি কিনতে লাগছে ৩০-৫০ টাকা। সেই সঙ্গে বাড়তি কাঁচামরিচের দাম। বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। শুধু সবজির দামই ঊর্ধ্বমুখী নয়, চালের বাজারও কয়েক দিন ধরে চড়া। এতে চরম বিপাকে দিন পার করছেন নি¤œ আয়ের মানুষ। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে নতুন আসায় এখন শিম ও ফুলকপির দাম বেশ চড়া। শীতের আগাম সবজি হিসেবে এই দাম খুব বেশি নয় বলেও অভিমত বিক্রেতাদের। বাজারে শীতের সবজি ভরপুর আসতে আরো অনেক সময় বাকি। এখন যে শিম ও ফুলকপি আসছে, তা আগাম সবজি। এর চাষ অল্প পরিমাণে হয়। ফলে সরবরাহ কম থাকে। আর নতুন জিনিসের প্রতি ক্রেতাদের বাড়তি চাহিদা থাকে। তাই দাম বেশি হলেও এখন শিম ও ফুলকপি বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল বাজারে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে কাঁচামরিচ। ২০০ টাকা কেজি। এছাড়া বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। মানভেদে গাজরের কেজি ৮০ থেকে ১১০ টাকা। আর পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এছাড়া ঝিঙের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করোলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, আর কাঁচকলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে।
কয়েক দিন ধরে ঊর্র্ধ্বমুখী চালের বাজারও। বাজারে চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি সর্বনি¤œ ৫০ টাকায়। এছাড়া মোটা চাল কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫২ টাকা, নাজিরশাইল ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা, বাংলামতি ৭৩ থেকে ৭৫ টাকা, পাইজাম আতপ ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা, মিনিকেট চিকন ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা, পোলাও চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গত সপ্তাহে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়ে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০ থেকে ২৩০ টাকা।
মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে যাত্রাবাড়ী ব্যবসায়ী মো. জাফর উদ্দিন বলেন, লকডাউন তুলে নেয়ার কারণে গ্রাম থেকে অনেকে ঢাকায় ফিরেছেন। হোটেল-রেস্তোরাঁয়ও বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। এ কারণে মুরগির চাহিদা এখন একটু বেশি। তাই সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কিছুটা বেড়েছে। আমাদের ধারণা সামনে দাম আরেকটু বাড়তে পারে। বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, চালের দাম বেড়ে গেছে। কাঁচামরিচের দামও বাড়তি। ব্রয়লারের দামও বেড়ে গেছে। নিত্যপণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নি¤œ আয়ের মানুষ কীভাবে চলবে বলেও অভিমত অনেক ক্রেতার।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার নিচে মিলছে না ইলিশ মাছ। এক কেজি ওজনের বেশি ইলিশের কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আর দেড় কেজির উপরে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা, মৃগেল ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। ঈদের পর থেকেই মাছ এই দামে বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়