সবুজ বাংলাদেশকে সবুজতর করার আহ্বান আইজিপির

আগের সংবাদ

হুমকির মুখে রোহিঙ্গা জাতিসত্তা : বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে ছয় গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিরাজুল ইসলাম বিজয়, তারাগঞ্জ (রংপুর) থেকে : ‘অল্প আনা দ্যাওয়ার পানি হইলে সড়ক কোনা তলে যায়। তলে যাওয়া সড়ক দিয়া ভ্যান রিকশা নিগার সময় খালোত পড়ি প্রায় উল্টি যায়। ভ্যান ভাঙে, ঠেংগভাঙে, যাত্রী-মালামাল ভিজি যায়। তাও কায়ও এটে পানি যাওয়ার নালা করি দেয় না।’ তারাগঞ্জ বাজার সড়কটি দেখিয়ে থানার মোড়ে আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন বুড়িরহাট গ্রামের বাসিন্দা ভ্যানচালক মিন্টু মিয়া। এ আক্ষেপ শুধু তার একার নয়। ওই সড়কের আশপাশের ছয়টি গ্রামের মানুষের।
দুই কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৩৫০ মিটার অংশে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটুসমান পানি জমে। এতে পিচ ও খোয়া উঠে সড়কটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় লোকজন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। স্থানীয় কয়েকজন জানান, ১০ বছর আগে নির্মিত ওই সড়ক দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলাচল করেন সেসব লোকজন। এছাড়া চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও চলাচল করতে হয়। দুই বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে সড়কটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও পানি নিষ্কাশনের নালা নির্মাণ করা হয়নি। ফলে সামন্য বৃষ্টি হলেই সড়কের থানা মোড় থেকে তিস্তা সেচ ক্যানেলের মোড় পর্যন্ত পানি জমে থাকছে।
সেখানে দাঁড়িয়ে থানাপাড়ার বাসিন্দা আরিফ আহম্মেদ বলেন, ‘ঘর থেকে বের হলেই সড়কের নোংরা পানি মাড়িয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। বারবার পানি নিষ্কাশনে নালা নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তা কেউ কর্ণপাত করেননি। আমাদের দুর্ভোগে দিন কাটছে। তারাগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধায়ক দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কের দুপাশের লোকজন বাড়ি ও জমি উঁচু করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। এতে সামান্য বৃষ্টিতে সড়কটিতে পানি জমে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কুর্শা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজালুল হক বলেন, এলাকার লোকজন বলার পর আমি সড়কের ওই অংশ দেখে এসেছি। সেখানে নালা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রকৌশলীকেও জানানো হয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, সমস্যা সমাধানের।
উপজেলা প্রকৌশলী হায়দার জামান বলেন, ওই সড়কের জলাবদ্ধতার কথা জানা আছে। সেটি সংস্কার ও নালা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়