কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর শাহ আলী থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে ইশরাত রফিক ঈশিতা ও তার সহযোগী শহিদুল ইসলাম দিদারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের দুজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ আগস্ট সকালে মিরপুরে অভিযান চালিয়ে প্রতারক ঈশিতা ও তার সহযোগী দিদারকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৪ এর বিশেষ টিম। সে সময় তাদের বাসা থেকে ভুয়া আইডি কার্ড, ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, ভুয়া সিল, ভুয়া সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র, ভুয়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদের দুটি ইউনিফর্ম ও র‌্যাঙ্ক ব্যাজ, ল্যাপটপ, ৩০০ পিস ইয়াবা, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
তারা দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার ভুয়া প্রতিনিধি, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, গবেষক ও বিশিষ্ট আলোচক, এমন বহুমুখী ভুয়া পরিচয় দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিত।
ঘটনায় পরেরদিন সকালে র‌্যাব-৪ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিরপুরের শাহআলী থানায় প্রতারণা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে। সেদিন বিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হলে মাদক ও প্রতারণার দুই মামলায় তিনদিন করে প্রত্যেককে মোট ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। পরে ৯ আগস্ট ছয় দিনের রিমান্ড শেষ হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।