সবুজ বাংলাদেশকে সবুজতর করার আহ্বান আইজিপির

আগের সংবাদ

হুমকির মুখে রোহিঙ্গা জাতিসত্তা : বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

দাউদকান্দিতে পুলিশের ফ্রি অক্সিজেন সেবা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাকির হোসেন হাজারী, দাউদকান্দি (কুমিল্লা) থেকে : দাউদকান্দিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিয়ে ডাক্তার ও রোগীর স্বজনরা হিমশিম খাচ্ছেন। করোনা চিকিৎসায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন শয্যা ১৭-৩২ বেড করেও আক্রান্তদের জায়গা দিতে পারছে না। আসন সংকুলানে রোগী ভর্তি হতে না পেরে বাসা-বাড়িতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। সেই সংকট মুহূর্তে দাউদকান্দির করোনা আক্রান্ত অসহায় মানুষকে বাঁচাতে অক্সিজেন ব্যাংক খুলে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা ও ওষুধ সরবরাহ কার্যক্রম করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নিরাপদ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) জুয়েল রানার ‘এএসপি অক্সিজেন ব্যাংক’ এবং ‘গৌরীপুর পুলিশ অক্সিজেন ব্যাংক’।
ফেসবুকে কিংবা হটলাইনে অক্সিজেন সংকটের খবর আসলেই দায়িত্ব পালনকারী স্বেচ্ছাসেবকরা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন করোনা আক্রান্তদের বাসা-বাড়িতে। শুধু অক্সিজেন সেবা নয়, চিকিৎসা পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় ওষুধসামগ্রী, মাস্ক বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। করোনার দুর্দিনে পুলিশের এই সেবা কার্যক্রম জেলাব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা কার্যক্রমে খুশি রোগীর স্বজন ও জেলা প্রশাসন। গৌরীপুর ব্লাড ডোনার্স ক্লাব এর সদস্যদের পরিচালনায় ৮টি সিলিন্ডার নিয়ে শুরু করে ফ্রি পুলিশ অক্সিজেন সার্ভিসটি। ‘এএসপি অক্সিজেন ব্যাংক’ এবং ‘গৌরীপুর পুলিশ অক্সিজেন ব্যাংক’ ৩৫টি সিলিন্ডারের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক করোনা রোগী ফ্রি অক্সিজেন সার্ভিস পেয়ে সুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে উপজেলার কালাডুমুর এলাকার করোনা আক্রান্ত মোসা. রয়মান বেগম (৪৫) হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তার ছেলে শরীফ হোসেন ফ্রি অক্সিজেন সার্ভিসের হটলাইনে ফোন করেন। স্বেচ্ছাসেবকরা তার বাড়িতে সিলিন্ডার পৌঁছে দেন। তিনি বলেন, আমার মায়ের শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে গৌরীপুরের এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে সার্কেল এএসপি স্যারের ফ্রি অক্সিজেন সার্ভিসের নাম্বারে ফোন করি। রাত ১১টার সময় মোটরসাইকেল দিয়ে দুজন লোক আমার বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে যায়। আমার মা এখন সুস্থ। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মো. জুয়েল রানা বলেন, দ্রুততম সময়ে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা স্বেচ্ছাসেবীরা চাই আমাদের এলাকায় অক্সিজেন এর অভাবে কোনো করোনা আক্রান্ত মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আমার আকুল আবেদন এই মহামারিতে তারা যেন গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়