সবুজ বাংলাদেশকে সবুজতর করার আহ্বান আইজিপির

আগের সংবাদ

হুমকির মুখে রোহিঙ্গা জাতিসত্তা : বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

জমি দখলের অভিযোগ : এক ওয়ার্ডে বরাদ্দ সরকারি ঘর নির্মাণ হলো অন্যত্র!

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : সোনারগাঁওয়ে ঘরহীন মানুষের জন্য ‘জমি আছে ঘর নেই যার, তার নিজ জমিতে গৃহনির্মাণ’ প্রকল্পের দুর্যোগ সহনীয় ঘর বিতরণে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, অসহায় মানুষের ঘর পেতে দুর্নীতি ও অবৈধভাবে চাপ প্রয়োগ করে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আ. ছালাম সরকার ওরফে বানোডির সমন্ধির স্ত্রী মৃত জাকিয়া বেগমের নামে উপজেলা প্রশাসনের কাছে কাগজপত্র জমা দেন। পরবর্তীতে ৭নং ওয়ার্ডে ঘর বরাদ্দ হওয়ার পর বানোডির নিজের মেয়ে সীমা আক্তার (২৬) ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টারে কাজ করায় শম্ভুপুরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রউফের সহায়তায় সেই সরকারি ঘরটি পার্শ্ববর্তী ৮নং ওয়ার্ডের অন্য একটি জায়গায় নির্মাণ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, জালিয়াতির মাধ্যমে ৭নং ওয়ার্ডের ঘরটি ৮নং ওয়ার্ডে নির্মাণ করে অন্যজনের মালিকাধীন জমি দখল করতে চেয়েছেন আ. ছালাম সরকার ওরফে বানোডি ও তার মেয়ে সীমা আক্তার।
যে জায়গাটিতে সরকারি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে সে জমির মালিক ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে মনিরুজ্জামান। এদিকে জমির মালিক মনিরুজ্জামান জানান, পৈতৃক সূত্রে তিনি ওই জমির মালিক। তার জায়গার আ. ছালাম সরকার ওরফে বানোডি ও তার মেয়ে সীমা ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে আমার জমিটি দখল করে রেখেছে। সরকারি ঘর হওয়ায় আমি এই ঘর অপসারণ ও করতে পারছি না। ওই বিষয়টি জানিয়ে আমি সোনারগাঁও উপজেলা প্রশাসন ও থানায় অভিযোগ করেও কোনো ফল না পেয়ে হতাশার মধ্যে রয়েছি। এদিকে আ. ছালাম সরকার ওরফে বানোডি বলেন, ঘরটি তার সমুন্ধির বউ জাকিয়া বেগমের নামে সরকার বরাদ্দ দিয়েছেন এবং আমার সঙ্গে মনিরুজ্জামানের জায়গা নিয়ে শত্রæতা থাকায় সে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে ওই জমির মালিক আমি। অসহায় পরিবার হওয়ায় আমি জাকিয়া ও তার পরিবারকে ওই জায়গায় থাকতে দিয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. সাজেদ আলী বলেন, আমার ওয়ার্ডের ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পর কীভাবে সেই ঘর ৮নং ওয়ার্ডে গেল তা আমি জানি না। তবে আ. ছালাম সরকারের মেয়ে সীমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চাকরি করেন। তাই জালিয়াতির বিষয়টি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফই বলতে পারবেন।
এদিকে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ হেফাজতের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়