খুলনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর : সম্প্রীতি পরিষদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

আগের সংবাদ

হার্ড ইমিউনিটি কতটা সম্ভব : নতুন নতুন ধরন নিয়ে শঙ্কা >> টিকার সুফল কিছুটা হলেও মিলবে : আশা বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে আমনের ভরা মৌসুমেও পানি নেই : উঁচু জমির ধানক্ষেত ফেটে চৌচির

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বোরোর পর করোনার দুর্যোগেও আমন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকরা। সদর উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় কিছু স্থানে চারা গাছ তুলছেন তারা। আবার কিছু স্থানে গিয়ে দেখা যায় চারা রোপণ করতে শুরু করেছেন কৃষক। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা চারা রোপণ করতে পারছেন না। আর আগে থেকেই যারা চারা রোপণ করেছেন, পানির অভাবে ধানক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে আছে। এতে করে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। ফলে বেশ কিছু কৃষককে শ্যালোমেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিতে দেখা যায়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন, বেগুনবাড়ি, খোঁচাবাড়ি, দানারহাট, বরুনাগাঁও ও রাণীশংকৈল, শিবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, হরিপুর উপজেলাসহ রুহিয়া থানার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় আমনের চারা উঠানো ও রোপণ করার দৃশ্য। এতে দল বেঁধে শ্রমিকরা কোথাও আমনের চারা তুলছেন, আবার কোথাও চারা রোপণ করছেন। এদের মধ্যে নারী শ্রমিকদের চারা তুলে রোপণের দৃশ্য চোখে পড়ে বেশ কয়েক জায়গায়। জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি জাতের ধান আবাদ করা হবে বলে জানান কৃষকরা। তবে বৃষ্টির অভাবে উঁচু জমিতে লাগানো ধানের ক্ষেত শুকিয়ে গেছে। এতে বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছেন এ জেলার কৃষকরা।
সদর উপজেলার নাগরুন এলাকার কৃষক দুলাল হোসেন জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছর তিনি তিন একর (৩০০ শতক) জমিতে আমন লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। জমি প্রস্তুতও করেছেন, কিন্তু বৃষ্টির অভাবে শ্রমিক নিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন। এ অবস্থায় আমন লাগানোর সময় পেরিয়ে যাওয়ার চিন্তায় রয়েছেন তিনি।
সদর উপজেলার শিবগঞ্জ গ্রামের কৃষক হামিদুর রহমান জানান, তিনি এ বছর আড়াই একর জমিতে আমন ধান লাগানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড রোদ আর বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। মাঝে মধ্যে স্বল্প পরিমাণে বৃষ্টি হলেও সেগুলো আধা ঘণ্টার মধ্যেই শুকিয়ে যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেল ইসলাম জানান, এ বছর জেলায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫০ টন। এরই মধ্যে কৃষকরা চারা তুলে তা রোপণের কাজ শুরু করেছে জানিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৯৫ শতাংশ জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে পানির অভাবে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন বলে জানান।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা অন্যান্য ফসলের মতো ধানের জন্যও বিখ্যাত। প্রচুর পরিমাণে ধান এ জেলায় উৎপাদন হয়। প্রতি বছর আমন মৌসুমে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে দেয়া হয়। এ বছরও দেয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টির অভাবে একটু সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে উঁচু জমিগুলোয় পানি থাকছে না। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ধান উৎপাদন হবে এবং কৃষকরা এ বছরও ধানের ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়