খুলনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর : সম্প্রীতি পরিষদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

আগের সংবাদ

হার্ড ইমিউনিটি কতটা সম্ভব : নতুন নতুন ধরন নিয়ে শঙ্কা >> টিকার সুফল কিছুটা হলেও মিলবে : আশা বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

গর্বিত বাবা-মেয়েকে ডিআইজির সংবর্ধনা

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাসান গোর্কি, রংপুর থেকে : তারা আজ আবেগাপ্লুত। মানুষের ভালোবাসা পেয়ে যেন ধন্য বাবা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম ও মেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন চিকিৎসক শাহনাজ পারভীন শাপলা। এই পুলিশ বাবা আর মেয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। ছবিতে দেখা গেছে তারা একে-অপরকে হাত উঁচিয়ে অভিবাদন (স্যালুট) করছেন। এরপর থেকে তাদের প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা সেটা তাদের আরো সামনে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।
ভাইরাল হওয়া সেই ক্যাপ্টেন শাহনাজ পারভীন শাপলাকে সংবর্ধনা দিয়েছে এবার বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ। গতকাল বুধবার রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ক্যাপ্টেন শাহনাজ পারভীন শাপলার হাতে। এ সময় তার গর্বিত বাবা এসআই আব্দুস সালামও সঙ্গে ছিলেন।
দেশ সেবায় নিয়োজিত দুই বাহিনীর বাবা-মেয়ের স্যালুট দেয়ার ছবির প্রশংসা করে ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বলেন, পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুস সালামের মেয়ের সেনাবাহিনীতে চাকরি হওয়ায় আমরা গর্বিত। আমরা চাই, দেশ সেবায় আদর্শ মানুষ হিসেবে ক্যাপ্টেন শাহনাজ পারভীন তার বাবার মুখ উজ্জ্বল করবেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রংপুর রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান ও ওয়ালিদ হোসেন, রংপুর রেঞ্জ অফিসের পুলিশ সুপার আব্দুল লতিফসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়ে ক্যাপ্টেন শাহনাজ পারভীনকে দেয়া সংবর্ধনা অনুপ্রেরণা জোগাবে উল্লেখ করে বাবা এসআই আব্দুস সালাম বলেন, আজকের দিনটি আমার ও আমার মেয়ের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। এই সংবর্ধনা আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। মেয়ের সাফল্যে আমি গর্বিত।
শাহনাজ পারভীন শাপলা ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী পাইলট বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেন ২০১০ সালে।
উত্তীর্ণ হন জিপিএ ৫ পেয়ে। এরপর ভর্তি হন ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজে। ২০১২ সালে সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়ও ভালো ফল করেন।
২০১৩-১৪ সেশনে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সফলতার সঙ্গে এমবিবিএস পাস করার পর এ বছরই সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন (আর্মি মেডিকেল কোর) পদে আবেদন করেন। মেধা আর যোগ্যতায় সেনাবাহিনীতে তার চাকরি হয়। তার বর্তমান কর্মস্থল টাঙ্গাইলের ঘাটাইল।
এসআই আব্দুস সালাম রংপুরের গঙ্গাচড়া মডেল থানায় কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানায়। বর্তমানে চাকরির সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে রংপুরে রয়েছেন। তার তিন সন্তানই মেয়ে। মেজ মেয়ে উম্মে সালমা একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সবার ছোট স্মৃতিমনি মীম এসএসসি পরীক্ষার্থী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়