খুলনায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর : সম্প্রীতি পরিষদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদ

আগের সংবাদ

হার্ড ইমিউনিটি কতটা সম্ভব : নতুন নতুন ধরন নিয়ে শঙ্কা >> টিকার সুফল কিছুটা হলেও মিলবে : আশা বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

আমানতের সুদহার : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় আপত্তি ব্যাংকের এমডিদের

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাজার চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংক চলুক, এমনটা চান বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি)। তারা মনে করেন, আমানত ও ঋণের সুদহারও বাজার ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী পরিচালিত হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি সুদহার বেঁধে দেয়, তাহলে ব্যাংক পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে। সম্প্রতি আমানতে সুদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দেয় যে মেয়াদি আমানতের সুদের হার মূল্যস্ফীতির হারের নিচে হতে পারবে না। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৫ শতাংশের মতো। অর্থাৎ আমানতের সুদের হারও হবে সাড়ে ৫ শতাংশ।
গতকাল বুধবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এমডিদের নিয়ে ব্যাংকার্স সভায় এমডিরা সুদহার বিষয়ে কথা বলেন। তারা বলেন, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ঋণের সুদহার কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়া হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭ শতাংশেও ঋণ দিতে হচ্ছে। এটা বাজার অর্থনীতির নিয়ম অনুযায়ীই হয়েছে। অন্যদিকে আমানতের সুদহার যদি সাড়ে ৫ শতাংশে বেঁধে দেয়া হয়, তাহলে তহবিল ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে ব্যাংক চালানোই কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। কারণ বেশির ভাগ ব্যাংকেরই ব্যক্তি আমানত ও মেয়াদি আমানত ৩০ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে এখন ব্যাংকগুলো মানুষের দোরগোড়ায় যাচ্ছে। ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং বা ক্ষুদ্র পর্যায়ে কার্যক্রম চালাতে ব্যাংকের খরচ এখন বেশি হচ্ছে। এজন্য আমানতে সুদ বেশি দিলে ব্যাংক লোকসান করবে।
সভায় উপস্থিত বেসরকারি ব্যাংকের একজন এমডি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ঋণে ৯ শতাংশ সুদ বেঁধে দেয়া হলেও করপোরেট ঋণে ৭ শতাংশের বেশি সুদ পাচ্ছি না। সেক্ষেত্রে আমানতে মূল্যস্ফীতির সমান সুদ দিলে ব্যাংক চাপের মুখে পড়বে। এজন্য আমানতে সুদহার পরিমার্জন, সংশোধনের জন্য জোরালো দাবি জানানো হয়েছে।’ তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ আমানতই যখন ব্যক্তি পর্যায়ের, তাহলে আমানতে সুদ কম দেয়া মানে তাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে স্পন্সর বা ব্যাংক পরিচালকদের বেশি করে ডিভিডেন্ড দিয়ে তাদের লাভবান করা হচ্ছে। যেখানে পরিচালকরা ৩৫ ভাগ ডিভিডেন্ড পাচ্ছেন, সেখানে যদি সাধারণ আমানতকারীরা ৩ শতাংশ পান, তাহলে এটা তাদের সঙ্গে বৈষম্য করা ছাড়া আর কিছু নয়।
এমডিদের চাপাচাপির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, এ বিষয়ে আরো কাজ করার আছে। সঞ্চয়পত্রের মতো সুদের হারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধাপ করা যায় কিনা, সে বিষয়েও চিন্তা করা হচ্ছে। তবে গতকালের সভায় এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। দীর্ঘদিন পর গতকাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্যাংকার্স সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরাবরের মতো এতে সভাপতিত্ব করেন ফজলে কবির। ব্যাংকার্স সভায় নিয়মিত কার্যবিবরণীতে নির্দেশনার আলোকে সব ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ সুদহার বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, জনস্বার্থ দেখতে হবে। বর্তমানে ব্যাংকগুলো চাইলে এটি সম্ভব। আমানতের সুদহার আমানতকারীদের দিতে হবে। এটি না হলে করোনাকালে মানুষের আয় কমে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়